পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ—তেজসিংহ । বন হইতে বাহির হইবার উপায় নাই । ক্ষণেক এইরূপ চিন্ত৷ করিয়া উষ্ণাষ খুলিয়। নিঃশব্দে যুবকের হস্তে দিলেন, নিঃশব্দে যুবক দুৰ্জ্জয়সিংহের নয়ন বন্ধন করিলেন । তাহার পর সুবক দুর্জয়সিংহের হস্ত ধরিয়া প্রায় একক্রোশ পথ লইয়া যাইলেন, এই পথের মধ্যে দুইজনের একটা কথা ও হইল না । দুৰ্জ্জয়সিংহ কোন দিকে যাইতেছেন কিছুই জানিলেন না, কেবল বৃক্ষপত্রের মৰ্ম্মরশব্দ শুনিতে লাগিলেন, এবং একটা পৰ্ব্বত আরোহণ করিতেছেন, বুঝিতে পারিলেন । শেষে যুবক সহসা দণ্ডায়মান হইলেন, দুৰ্জ্জয়সিংহও দাড়াইলেন । যুবক তাহার চক্ষুর বস্ত্র উন্মোচন করিয়া দিলেন, দুজ্জয়সিংহ বিস্মিত হইয়। চারিদিকে চাহিয়৷ দেখিতে লাগিলেন । রজনী এক প্রহরের সময় দুজ্জয়সিংহ অ}পনাকে এক অন্ধ. কারময় পৰ্ব্বতগহবরে অপরিচিত লোকদ্বারা বেষ্টিত দেখিলেন । গহবরে একটা মাত্র দীপ জ্বলিতেছে, সেই দীপালোকে দুজ্জয়সিংহ আপনার চতুদিকে কেবল অসভ্য ভালজাতা লোক দেখিতে পাইলেন। তাহার। পরম্পরে কি কথা কহিতেছে, দুজ্জয়সি হ' তাহা বুঝিতে পারি নন না । তাহারা কখন গহবরের মধ্যে প্রবেশ করিতেছে, পরক্ষণেই বহিরে যাইতেছে, তাহার কারণ ৪ জানিতে পারিলেন না । তিনি রাজপুত ভাষায় কথা কহিলেন, পাশ্বস্থ যুবক ভিন্ন কেহ সে কথা বুঝিতে পারিল না। যুবক তাহার প্রাণ বাচাইপ'ছে, যুবক তাহাকে বিশ্রামের জন্ত এক গুছায় আনিয়াছে, । ক এ পর্য্যন্ত তাহাকে সম্মাণের সহিত ব্যবহার করিয়াছেন, তথাপি দুৰ্জ্জয়সিংহ সেই যুবকের দিকে চাহিতে সঙ্কুচিত হইতেছেন কি জন্ত ? দুৰ্জ্জয়সিংহ জানেন না ;