পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ—পুত্ৰশোক । ՀՊ


-- -----------

হইতে বসন্তের স্থৰ্য্য সেই আনন্দময় ক্ষেত্রচয়ের উপর সুবর্ণরশ্মি বর্ষণ করিতেছে। এইরূপে সৈন্যগণ পৰ্ব্বত, বন ও ক্ষেত্র উত্তীর্ণ হইয়া যাইতে লাগিল। কয়েক ক্রোশ এইরূপে অতিবাহিত করিয়া চন্দ্রপুর গ্রামে উপস্থিত হইল । স্থৰ্যমহল দুর্গের অধীনে চন্দ্রপুর, প্রভৃতি কয়েকটা “বশী" গ্রাম ছিল। যুদ্ধ ও বিপদকালে কোন কোন গ্রামের লোক আপনাদিগের জীবন, শস্ত ও সম্পত্তি রক্ষার অন্য উপায় না দেখিয়া কোন কোন পরাক্রান্ত যোদ্ধার বশ্যতা স্বীকার করিত। সেই অবধি উক্ত যোদ্ধা তাহাদিগকে রক্ষা করিতেন, এবং তাহারা ঐ যোদ্ধার বেশী” অর্থাৎ অধীন নিবাসী হইয়া থাকিত। পূৰ্ব্ববৎ তাহারা কৃষিকার্য্যে লিপ্ত থাকিত, কিন্তু এক্ষণে তাহারা পূৰ্ব্ববং স্বাধীন নহে। তাছারা যোদ্ধার দাস, যোদ্ধার ভূমি ত্যাগ করিয়া যাইতে পারে না, যোদ্ধার আজ্ঞা লঙ্ঘন করিতে পারে না । এইরূপে চন্দ্রপুর প্রভৃতি কয়েকটা গ্রামের প্রজাগণ মেওয়ারের অনন্ত যুদ্ধে ব্যতিব্যস্ত হইয়া আপনাদিগের রক্ষার অন্য উপায় ন। দেখিয়া বহুকালা বধি সূৰ্য্যমহলেশ্বরদিগের বগুত। স্বীকার করিয়াছিল। যতদিন রাঠোরগণ স্বৰ্য্যমহল দুর্গের অধীশ্বর ছিলেন, ততদিন চন্দ্রপুরের প্রজাদিগের অধিক কষ্ট হয় নাই ; কিন্তু তিলকসি’হের মৃত্যুর পর প্রজাগণ দুর্জয়সিংহের হস্তে পতিত হইল। দুর্জয়সিংহ স্বভাবতঃ ক্রুদ্ধস্বভাববিশিষ্ট ছিলেন, চন্দ্রপুরনিবাসীদিগকে মৃত তিলকসিংহের প্রতি অনুরক্ত দেখিয়া আরও ক্রুদ্ধ হইলেন। বশী প্রজাদিগকে যৎপরোনাস্তি শাস্তি দিতেন, সৰ্ব্বদা অবমাননা