পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজপুত জীবন-সন্ধা । রবে পৰ্ব্বত-নদী সেই উপত্যকার মধ্য দিয়া বহিয়া যাইতেছে ও আপন স্বচ্ছ বক্ষে এই অসংখ্য অগ্নিশিখার প্রতিবিম্ব ধারণ করিতেছে। বসন্ত গীতের মধ্যে মধ্যে চারণদিগের যুদ্ধ গীত স্থানে স্থানে শ্রত হইতেছে, মেওয়ারের পুৰ্ব্বগৌরব, মেওয়ারের বিপদরাশি, মেওয়ারের আসন্ন বিজয়, এই সমস্ত বিষয়ের গীত সৈন্যমণ্ডলীকে প্রোৎসাহিত করিতেছে, আনন্দ গীতের সঙ্গে সঙ্গে সেই গীত নৈশ গগনে উত্থিত হইতেছে। এ সমস্ত উৎসব ব্যাপার হইতে বহুদূরে একটা অন্ধকারময় পৰ্ব্বতস্থলীর উপর একজন যোদ্ধা একাকী পদচারণ করিতেছিলেন। তিনি মধ্যে মধ্যে সহসা দণ্ডায়মান হইতেছিলেন, কিন্তু উৎসবের গীত শুনিবার জন্য নহে ৷ মধ্যে মধ্যে সেই উপত্যকার মধ্যে যতদূর দেখা যায়, দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিলেন, কিন্তু উৎসবের অগ্নিকুণ্ড দেখিবার জন্য নহে। কথন কখন কমলমীরের অপূৰ্ব্ব শৈলদুর্গের উপর নয়ন নিক্ষেপ করিতেছিলেন কখন অসংখ্য সৈন্যের দিকে চাহিতেছিলেন, কথন বা আপন হৃদয়ে হস্ত স্থাপন করিয়া সেই নক্ষত্রবিভূষিত অন্ধকারময় নভোমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টিপাত করিতেছিলেন। ইনি মহারাণা প্রতাপসিংহ। প্রতাপসিংহের কোষে আসি লম্বমান রহিয়াছে, নিকটে বৃক্ষতলে তৃণশয্যা রচিত হইয়াছে, চিতোর পুনরায় হস্তগত না করিয়া যোদ্ধা অন্য শয্যায় শয়ন করিবেন না, প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন। সেই ব্রত যতদিন না সিদ্ধ হয়, ততদিন সুবর্ণ রৌপ্য, ম্পর্শ করিবেন না, জটা, শ্মশ্র বিমোচন করিবেন না, বৃক্ষপত্র ভিন্ন অন্য পাত্রে ভোজন করিবেন না, বেশভূষায় সামান্য দ্রব্য

  • * * *-* * * * * *