পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or ol রাজপুত জীবন-সন্ধ্য। শিবিরের মধ্যে যুবৰাজ সলাম প্রফুল্লচত্তে গীত শুনিতেছেন, সম্মুখে সুরাপাত্র, নিকটে কলকণ্ঠ প্রৌঢ়যেীবন কয়েকজন গায়িকা। যুবরাজের অবয়ব দীর্ঘ ও বলিষ্ঠ, ললাট প্রশস্ত ও সুন্দর । কল্য যুদ্ধ হইবে, কিন্তু অদ্য সেই প্রশস্ত ললাট চিন্তাশূন্য, সেই সুন্দর আনন নির"দ্বেগ ও হাস্যরঞ্জিত । শিবির হইতে এখন ও আনন্দের শব্দ উত্থিত হইতেছে, এরূপ সময়ে একজন ভৃত্য অসিয়া সংবাদ দিল—জাহাপনা, রাজা মানসিংহ অtসিয়াছেন । বিশেয প্রয়োজন বশতঃ সাক্ষাৎ করিতে চাহেন। যুবরাজ বুঝিলেন, রাজা যুদ্ধপরামর্শ করিতে আসিয়াছেন । গীত ক্ষান্ত হইল, যুবরাজ সকলকে বিদায় দিলেন। ক্ষণেক পর মীরশ্রেষ্ঠ অস্বরাধিপতি মানসিংহ শিবিরে প্রবেশ করিয়া যুবরাজকে তস্লাম করিলেন। সহাসবিদনে সলীম তাছাকে আহবান পুৰ্ব্বক দ্বার রুদ্ধ করিয়া দুইজনে নিঃশব্দে উপবেশন করিলেন। মনসিংহ ও সলীম উভয়েই যুবক, উভয়েই সাহসী যোদ্ধা, উভয়েই যৌবনোচিত উৎসাহে উৎসাহী। কিন্তু সলীম সম্রাট পুল, সুতরাং সুখপ্রিয় ও বিলাসী, তাহার ন্যায় বিলাসী কখনও দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন নাই । তাহার স্বভাব সরল ও উদার, যৌবনেই কার্যপ্রিয়তা অপেক্ষ সুখfপ্রয়তা প্রবল হইয়াছিল । পরে এই সুখপ্রিয়তা এরূপ প্রবল হয়, যে তুঙ্গাঁহান ঐ রাজ্য শাসন করেন, দিল্লীশ্বর জাহাঙ্গীর বন্ধু ও আম ত্য, রমণী ও মদিরা লইয়। কালযাপন করিতেন । মনসিংহ অসাধারণ ধাসম্পন্ন, অসাধারণ স্থির-প্রতিজ্ঞ ও কাৰ্য্যপটু,