পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

美载 রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা। বার বার দলে দলে রাজপুতগণ প্রভুর উদ্ধার চেষ্টা করিল, দলে দলে কেবল অসংখ্য শত্রু বিনাশ করিয়া আপনার বিনষ্ট হইল। মোগলরেখা অতিক্রম করিতে পারিল না, এবার প্রভুর উদ্ধার করিতে পারিল না । দূর হইতে দৈলওয়ারার অধিপতি এই ব্যাপার দেখিলেন। মুহূৰ্ত্তের জন্ত ইষ্টদেবতা স্মরণ করিলেন, পরে আপনার ঝালাংশীয় যোদ্ধা লইয়া সম্মুখে ধাবমান হইলেন। মেওয়ারের কেতন সুবৰ্ণস্বর্য একজন সৈনিকের হস্ত হইতে আপনি লইলেন, এবং মহা কোলাইলে সেই কেতন লইয়া ঝালাকুলের সহিত অগ্রসর হইলেন । - সে তেজ মোগলগণ প্রতিরোধ করিতে পারিল না, বীর দেলওয়ারাপতি শক্ররেখা বিদীর্ণ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ঝালাকুল, যথায় প্রতাপ উন্মত্ত রণকুঞ্জরের ন্তায় যুদ্ধ করিতেছিলেন, তথায় উল্লাসরবে উপস্থিত হইল । সবলে প্রভুকে রক্ষা করিলেন, প্রতাপকে সেই শক্ররেখা হইতে উদ্ধার করিয়া আনিলেন, ও সেই উদ্যমে সম্মুখরণে আপনার প্রাণদান করিলেন। পতনশীল দেহের দিকে চাহিয়া মহামু ভব প্রতাপ বলিলেন— দৈলওয়ারা ! অদ্য আপনার জীবন দিয়া আমার জীবন রক্ষণ করিয়াছ । দৈলওয়ারা ক্ষীণস্বsর উত্তর করিলেন-ঝালা স্বামীধৰ্ম্ম জানে ; বিপদকালে মহারাণার পাশ্বত্যাগ করে না। প্রতাপসিংহ স্মরণ করিলেন, ফাল্গুন মাসের শেষ দিন রজনীতে দৈলওয়ারাপতি এই কথাগুলি বলিয়াছিলেন। দৈলওয়ারাপতির জীবনশুন্ত দেহ ভূতলে পড়িল । - দ্বাবিংশ সহস্র রাজপুত যোদ্ধার মধ্যে চতুর্দশ সহস্র সেদিন