পাতা:রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা (ষষ্ঠ সংস্করণ).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1ы রাজপুত জীবন-সন্ধ্যা।


------------------------------ - - -----------------------------

উল্লাসে মাত কহিলেন-হৃদয়েশ্বর সশরীরে স্বৰ্গধামে গিয়াছেন, দাসীগণ -চিতা প্রস্তুত কর, তিনি দাসীর জন্ত অপেক্ষা করিতেছেন, কেননা জীবনে এ দাসী তাহার বড় গোহাগিনী ছিল।" - সহসা তেজসিংহের স্বর রুদ্ধ হইল ; নয়ন হইতে একবিন্দু জল সেই বিশাল বক্ষঃস্থলে পতিত হইল। পুনরায় বলিতে লাগিলেন- - “দেবি ! ক্ষমা করুন, তেজসিংহ ক্ৰন্দন অনেক দিন ভুলিয়া গিয়াছে, অদ্য স্নেহময়ী মাতার কথা স্মরণ করিয়া সম্বরণ করিতে পারিল না। যখন চিতাবোহণে স্থিরসঙ্কল্প হইলেন, তখন বাটীর সকলে আসিয়া নিষেধ করিল। আমাকে কে প্রতিপালন করিবে, সকলে এইরূপ যুক্তি দেখাইতে লাগিলেন। মাতা তাহ শুনিলেন না, তিনি স্বামীর অনুমৃত হইবার জন্ত স্থিরসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। - “শেষে আমি আসিয়া বলিলাম-মাতা এখনও আমার হস্ত দুৰ্ব্বল, তুমি যাইলে স্বৰ্য্যমহল কে রক্ষা করিৰে ? দুৰ্জ্জয়সিংহের সহিত কে যুদ্ধদান করিবে ? এবার তিনি স্থিরসঙ্কল্প ভুলিলেন, বুলিলেন—দাসীগণ! আমার চিতারোহণে বিলম্ব আছে । শুনিয়াছি চিতোর রক্ষার্থ পত্তের মাতা ও বনিত না কি স্বহস্তে যুদ্ধ করিয়াছিল । আর একজন রাজপুত-রমণী স্বহস্তে যুঝিবে, স্থৰ্য্যমহল রক্ষা করিবে । “পিতার অস্ত্রাগার অন্বেষণ করিলেন ; তাহার ব্যবহৃত একটা ছুরিকা পাইলেন, সেই অবধি ছুরিকা মাতার কণ্ঠমণি হইয়াছিল। :