পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১০০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৭২
সেনাপতি বধ

বিস্তার করিতেছিলেন। একদিন নৃপতি বলিলেন, “প্রভো! এরা আমাকে বন্দী করিয়া রাখিয়াছে, মুক্তির উপায় কি? আমি একা, আর এরা পঞ্চাশ হাজার সৈন্য বাঁটিয়া লইয়াছে।” পুরোহিত উপদেশ দিলেন, “দেখ মহারাজ, কথা ঠিক বলিয়াছ, রাজার পক্ষে ডর ভাল নয়, রাজা যদি ভয়ে কাঁচু মাচু হয় তবে রাজ্যের অমঙ্গল অনিবার্য্য। এই রক্তশোষা সেনাপতির দল হইয়াছে রাজ্যের ব্যাধিস্বরূপ, হয় এদিগকে তাড়াও নতুবা শমন ভবনে পাঠাও, এরা থাকিতে রাজ্যের মঙ্গল নাই।”

 তখন গুরু শিষ্যে মিলিয়া মুক্তির উপায় স্থির হইল এদের বধ করা। রাজা অন্তঃপুরে রাণীরও অদর্শন হইয়া থাকিবেন, বাহিরে ঘোষণা হইবে যে রাজা অসুস্থ, কেবল পুরোহিত রাজার সাক্ষাতে থাকিবেন। অবসর সময়ে রাজা মল্লবিদ্যা শিখিবেন। যেমন পরামর্শ তেমনি কায। বাহিরে রাজার অসুখ প্রচার হইয়া গেল, এই ভাবে তিন মাস কাটিয়া গেল। একদিন প্রধান সেনাপতি রাণীর নিকটে রাজার অবস্থা জানিতে চাহিলেন। রাণী কহিলেন, “রাজাকে ত দেখিতে পাই না, অন্ধকারে থাকেন। একদিন অন্ধকারে দেখিলাম রাজার বৃহৎ শরীর হইয়াছে।” সেনাপতি শুনিয়া বুঝিলেন তাহা হইলে ত রাজার পাণ্ডুরোগ হইয়াছে, বড় কষ্ট ভোগ কপালে আছে।

 এই ভাবে কিছু কাল গেল। কিছু দিন পরে সেনাপতিগণ রাজাকে দেখিতে চাহিলেন। পুরোহিত বলিলেন, তোমরা কাল আসিও, দেখা হইবে। এদিকে যুক্তি করিয়া ত্রিশ চল্লিশ