পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১০৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৭৬
কুকিরাজ্য জয়

ঘষিতেছে! যাক্ এই ভাবে তারা মদে যতই অচেতন হইল, ত্রিপুর সেনারা সেই সুযোগে দুর্গের উপর ততই নিজের রণসজ্জা সমাপন করিল। শেষ রাত্রিতে সহসা রণ দামামা বাজিয়া উঠিল, থানাসী সেনা হুড়মুড় করিয়া উঠিয়া পড়িল। কিন্তু কাহার সঙ্গে লড়িবে? যমতুল্য রায় কাচাগ সম্মুখে—পেছনে ত্রিপুর বাহিনী। চক্ষের নিমিষে রক্তনদী বহিয়া গেল, সূর্য্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে থানাসী কুকিরাষ্ট্রের উপর ত্রিপুর বৈজয়ন্তী উড়িল।

 ধন্যমাণিক্যের দৃষ্টি বঙ্গদেশের উপর পড়িল। নিজ রাজধানী উদয়পুরের নিকটবর্ত্তী মেহেরকুল, পাটীকারা, গঙ্গামণ্ডল, বগাসার, বেজুরা ভানুগাছ, বিষ্ণুজুড়ী, লঙ্গলা প্রভৃতি দেশ হেলায় জয় করিয়া ফেলিলেন। বরদাখাত জমিদার প্রতাপ, গৌড়ের সম্বন্ধ ছাড়িয়া ত্রিপুরেশ্বরের সহিত যোগ দিলেন। কেবল মাত্র খণ্ডলই বিরুদ্ধাচরণ করিতে লাগিল। ত্রিপুরেশ্বর এক সেনাপতির অধীনে সৈন্য দিয়া খণ্ডল অবরোধ করিলেন। খণ্ডলের লোকেরা কৌশলে সেনাপতিকে ধরিয়া ফেলিয়া গৌড়ের নবাবের দরবারে ইঁহাকে পাঠাইয়া দেয়। গৌড়ের অধিকার খর্ব্ব করায় নবাব পূর্ব্ব হইতেই ত্রিপুরার প্রতি বিরক্ত ছিলেন, তাই সেনাপতিকে হস্তী দিয়া পিষিতে হুকুম দিলেন। সেই সেনাপতি অদ্ভুত বীরত্ব দেখাইয়া মৃত্যুমুখে পতিত হন। ত্রিপুরেশ্বর এই সংবাদ শুনিয়া রায় কাচাগকে খণ্ডল দলনে পাঠাইলেন। রায় কাচাগের নামে সকলই থরহরি কম্পমান,