পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১০৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৭৯
ধন্যমাণিক্য ও হোসেন শাহ

অধীনে পরাজয়ের প্রতিশোধ লইবার জন্য, অভিযান যাত্রা করিবে। তাহাই হইল। গৌর মল্লিকের অপযশ হইল, তাই তাহার আর ডাক পড়িল না—এবার হৈতন খাঁর পালা। হৈতন সেনাপতিত্ব পদে বৃত হইয়া কাযটিকে খুব কঠিন মনে করিলেন না। তিনি গৌর মল্লিকের সহিত পরামর্শ আঁটিয়া দেশের হালচাল বুঝিতে পারিতেন কিন্তু গৌর মল্লিকের অভিজ্ঞতার সন্ধান লইলেন না। আফজল খাঁ যেমন পূর্ব্ব প্রসঙ্গ বিস্মৃত হইয়া নিঃসঙ্কোচে বলিয়াছিলেন শিবাজীকে বাঁধিয়া আনিবেন, হৈতন খাঁও তেমনি বীরদর্পে মেদিনী কম্পিত করিয়া ত্রিপুরনাথকে শিক্ষা দিতে চলিলেন।

 এবারের আক্রমণ পূর্ব্বের ন্যায় কুমিল্লা অঞ্চলে হয় নাই। হৈতন খাঁ কুমিল্লার পথ ছাড়িয়া কৈলাগড় পথে অগ্রসর হইলেন। কৈলাগড় বর্ত্তমান কসবা। কসবা হইতে এক মাইল পশ্চিম দক্ষিণ দিকে বিজয় নদীর তীরে হৈতন খাঁ নিজ শিবির রচনা করেন। উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ পার্শ্বে পরিখা বা গড়খাই কাটা হইয়াছিল। ঐ চিহ্ন অদ্যাপি বর্ত্তমান আছে। সেনাবাস রক্ষার জন্য বিজয়নদীর তীরে মাটির প্রাচীর তোলা হয়। কুমিল্লা হইতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া অভিমুখে যে রাস্তা গিয়াছে তাহা এই পরিখা ভেদ করিয়া গিয়াছে। মেবার আক্রমণ উপলক্ষ্যে আকবর যেখানে সেনাবাস রচনা করিয়াছিলেন, সেই স্থানটিকে এখনও দেখিলে চিনা যায়, উহা ‘আকবর কা দিয়া’ (দেওয়াল) নামে প্রসিদ্ধ হইয়া রহিয়াছে। তেমনি কসবার