পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১০৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৮০
ধন্যমাণিক্য ও হোসেন শাহ

সন্নিকটস্থ গড়-খাইকে হোসেন-সাহ-কা-দিয়া বলা যাইতে পারে।

 কৈলাগড় অঞ্চলে ত্রিপুর সৈন্যের সহিত হৈতন খাঁর যুদ্ধ হয়। হৈতনের ধারণা হইল ত্রিপুরায় আর কত সৈন্য থাকিবে, যুদ্ধে ইহারা নিঃশেষ হইয়া যাইবে। যুদ্ধে ত্রিপুরসৈন্যের পরাজয় হইতে লাগিল, হৈতন খাঁ খড়্গরায় প্রভৃতিকে যুদ্ধে হঠাইয়া অগ্রসর হইতে লাগিলেন, ক্রমে শুগড়িয়া গড়ে আসিয়া পৌঁছিলেন। সেখানে গগন সেনাপতিকে হারাইয়া উদয়পুর অভিমুখে গৌড় সৈন্য ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিল। গঙ্গানগর পার হইয়া পথে শিবির রচনা হইল, পাছে গোমতীর জল বিষাক্ত হয় সেই ভয়ে এক দীঘি খনন করা হয়। হৈতন খাঁর সঙ্গে নানা শ্রেণীয় কারিগর মিস্ত্রীর অভাব ছিল না। গোমতীর এক বাঁক দেখিয়া হৈতনের বেশ পছন্দ হইল, স্থানটি দুর্গ নির্ম্মাণের পক্ষে উপযোগী বোধ করিয়া সেখানে গড় নির্ম্মাণের আদেশ দিলেন। কারিগর মিস্ত্রীরা কাযে লাগিয়া গেল। ঠিক ঐ স্থানের উজানেই ত্রিপুরার গড় পর্ব্বতের চূড়ায় রহিয়াছে। মহারাজ ধন্যমাণিক্য ঐ গড় হইতে পাঠানের দুর্গ নির্ম্মাণ লক্ষ্য করিতে লাগিলেন।

 ত্রিপুরার স্বাধীনতা সঙ্কটাপন্ন, মহারাজ ধন্যমাণিক্য সেনাপতিদের লইয়া মন্ত্রণায় বসিলেন। এই জাতীয় সঙ্কট কালে ত্রিপুরার এক যুবতী তাঁহার ডাকিনী বিদ্যার শক্তিতে অলৌকিক ক্রিয়া দ্বারা গোমতীকে উজানে স্তম্ভিত করিয়া ফেলেন বলিয়া উল্লেখ