পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১১১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৮৩
ত্রিপুরাসুন্দরী প্রতিষ্ঠা

কথা সেখানে দাউ দাউ করিয়া দাবানল জ্বলিয়া উঠিল, ত্রিপুর সৈন্যেরা সেখানে আগুন ধরাইয়া দিয়াছিল। হৈতন খাঁ কোনওরূপে প্রাণ লইয়া শুগড়িয়া গড়ে আসিয়া পৌঁছিলেন।

 গৌর মল্লিকের মত তাঁহারও সৈন্যদের মধ্যে কে বাঁচিয়া আছে খবর লইবার সুযোগ হইল না। শুগড়িয়া দুর্গে তিনি হতভম্ব অবস্থায় মাথায় হাত দিয়া বসিলেন। ওঃ, বড়ই ভুল হইয়াছে, ত্রিপুরা জয় করিতে বহু সৈন্যের প্রয়োজন, অল্প সৈন্যে অভিযান চালান বেকুবের কায! যখন গৌড়ে পৌঁছিয়া হোসেন শাহের নিকট পরাজয় বার্ত্তা কহিয়া আরও সৈন্যের জন্য আবেদন জানাইলেন তখন নবাব বিরক্ত হইয়া তাঁহাকে পদচ্যুত করেন।

(১১)

ত্রিপুরাসুন্দরী প্রতিষ্ঠা

 ধন্যমাণিক্যের কীর্ত্তি কাহিনীর মধ্যে অবিনশ্বর কীর্ত্তি হইতেছে তাঁহার রাজধানীতে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির নির্ম্মাণ ও তাহাতে দেবীর প্রতিষ্ঠা। কালিকা মূর্ত্তি কষ্টিপাথরে গড়া। মন্দির নির্ম্মাণ ধন্যমাণিক্যের হস্তে হইয়াছিল বটে কিন্তু মূর্ত্তির নির্ম্মাণ কবে হইয়াছিল ইহার কোন সঠিক নির্ণয় নাই। ত্রিপুরা রাজ্যে পীঠস্থান সম্বন্ধে পীঠমালা তন্ত্রে উল্লেখ আছে যে ত্রিপুরা দেশে সতীর দক্ষিণ পদ পড়ায় দেবী হইতেছেন ত্রিপুরাসুন্দরী। আর