পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১১৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৮৯
বিজয়মাণিক্য ও দৈত্যনারায়ণ

বৈরাম খাঁ হইয়া বসিলেন। রাজ্যে তাঁহার বিরুদ্ধে কেহ টু শব্দটি করে না!

 দৈত্যনারায়ণের কীর্ত্তি উদয়পুরে জগন্নাথ মন্দির নির্ম্মাণ। শ্রীক্ষেত্র হইতে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামের বিগ্রহ শ্রীশ্রীজগন্নাথ স্পর্শ করাইয়া আনা হয় এবং আড়ম্বরের সহিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়। বার মাসে বার ক্রিয়ার ব্যবস্থা করিয়া দেওয়া হইল।

 বিজয়মাণিক্য ষোড়শ বর্ষে পদার্পণ করিলেন কিন্তু দৈতানারায়ণের হাতের পুতুল হইয়া রহিলেন মাত্র। সৈন্যসামন্তের কুচকাওয়াজ হইতে হাতিশাল, ঘোড়াশাল পর্য্যন্ত দৈত্যনারায়ণের অঙ্গুলি সঙ্কেতে সকলি চলিতে লাগিল, বিজয়মাণিক্য কেবল দর্শক মাত্র, মুখের কথাটি কহিবার যো নাই। দৈত্যনারায়ণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা দুর্ল্লভনারায়ণ জ্যেষ্ঠের বলে বলীয়ান্ হইয়া দৌরাত্ম্য করিতে দ্বিধাবোধ করিত না। ক্রমেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে উঠিল। একদিন মাধবতলার হাটে এক দরিদ্রা সুন্দরী নারী শাক বেচিতে বসিয়াছিল, তখন সে পথ দিয়া দুর্ল্লভনারায়ণ দোলায় চড়িয়া যাইতেছিল। রমণীর রূপ দেখিয়া তাহাকে বলপূর্ব্বক ছিনাষ্টয়া লইয়া গেল। রমণীর স্বামী আসিয়া রাজার নিকট কৃতাঞ্জলিপুটে বিচার প্রার্থনা করিল “আপনি ধর্ম্মাবতার, প্রজার মা বাপ, যদি এ অত্যাচারের বিচার না করেন তবে রাজ্যে বাস করিব কিরূপে?” বিজয়মাণিক্য তাহাকে আশ্বাস দিয়া বিদায় করিলেন। তখন