পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১২১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৯৩
পাঠান বিদ্রোহ

ব্রাহ্মণ আসিয়া মহারাজের কানে এ কথা তুলিলেন। মহারাজ বলিলেন—“ওঃ ইনাম হইয়া গেল নজর, আচ্ছা ভুল শোধরাইয়া দিতেছি।”

 মহারাজ বিজয়মাণিক্য যুদ্ধের নামে এক প্রহসন করিলেন। জয়ন্তী উদ্দেশে চট্টগ্রাম হইতে শ্রীহট্ট পর্য্যন্ত এক হাড়ীর দল সংগ্রহ করিয়া পাঠাইয়া দিলেন। তাহারা কোদাল খন্তী ও শূকর খেদান লাঠি লইয়া ডুগ্‌ ডুগি বাজাইয়া জয়ন্তী রাষ্ট্রে হানা দিল। জয়ন্তীরাজ ইহাতে লজ্জিত হইয়া হেড়ম্বরাজের আশ্রয় লইলেন। হেড়ম্বের সহিত ত্রিপুরার বহুকালের সম্বন্ধ। হেড়ম্বরাজ নির্ভয়নারায়ণ ত্রিপুরেশ্বরকে পত্র লিখিলেন—“ভাই ঘাট হইয়াছে, জয়ন্তীরাজ অনুতপ্ত হইয়া ক্ষমা চাহিতেছেন, হাড়ী সৈন্য দিয়া আর তাঁহাকে অপমান করিও না।” ত্রিপুরেশ্বর হেড়ম্বরাজের আহ্বানে হাড়ী সৈন্য ফিরাইয়া লইয়া শ্রীহট্টে কালনাজিরের অধীনে ত্রিপুর থানা বসাইয়া দিলেন।

(৩)

পাঠান বিদ্রোহ

 বিজয়মাণিক্যের বিপুল সেনা মধ্যে একটি পাঠান ফৌজ গঠিত হইয়াছিল। চট্টগ্রামে মুসলমান শক্তি বৃদ্ধি পাইতেছিল দেখিয়া বিজয়মাণিক্য দুই হাজার সৈন্য লইয়া স্বয়ং