পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৪৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
১১৭
 

অমরমাণিক্যের সেনাপতি
ইষা খাঁ

এইরূপ কথিত হইয়া থাকে যে তাঁহার সভাগৃহে দুই শত ব্রাহ্মণ সমবেত থাকিতেন, মহারাজ অমরমাণিক্য বিক্রমাদিত্যের ন্যায় ইঁহাদের সহিত শাস্ত্রালোচনায় প্রবৃত্ত হইতেন।

(৯)

অমরমাণিক্যের সেনাপতি ইষা খাঁ

 অমরমাণিক্য ধর্ম্মকর্ম্মে তৎপর হইয়া সুখে দিন কাটাইতে লাগিলেন কিন্তু রাজাদের ভাগ্য প্রজার ভাগ্যের সহিত জড়িত, তাই ধর্ম্মকার্য্য লইয়া নিরবচ্ছিন্ন শান্তিভোগ ঘটিয়া উঠে না। আবার এক উৎপাত দেখা দিল। বাঙ্গলার শাসনকর্ত্তা ইসলাম খাঁ ঢাকা নগরীতে নিজ রাজপাট স্থাপন করিয়া ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে লুব্ধ দৃষ্টি করিতেছিলেন। বিজয়মাণিক্যের সময় সোণার গাঁ হইতে পাঠান বিতাড়িত হয়, সেই সূত্রে ত্রিপুরার উপর ক্রোধ রহিয়াছিল। ইস্‌লাম খাঁ সঙ্কল্প করিলেন ত্রিপুরা রাজ্য জয় করিতে হইবে, তাই সহসা অভিযান প্রেরণ করিলেন। বিদ্যুৎবেগে এই সংবাদ ত্রিপুরা রাজ্যে ছড়াইয়া পড়িল, তখন ঘরে ঘরে সাজ সাজ রব উঠিল!

 সে সময়ে ইষা খাঁ ছিলেন অমরমাণিক্যের একজন প্রধান সেনাপতি। ইষা খাঁর উপর মহারাজ যুদ্ধের ভার অর্পণ করিলেন। ইষা খাঁ বিপুল সেনা লইয়া যুদ্ধযাত্রা করিলেন। সরাইলের নিকট গড়খাই করিয়া শত্রুপক্ষের আগমন প্রতীক্ষা