পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৫৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১২৬
মঘরাজের মুকুট প্রেরণ

উদ্দেশ্যে তিনি রত্নখচিত হস্তিদন্তের একটি রাজমুকুট দূত হস্তে ত্রিপুর শিবিরে পাঠাইয়া দিলেন, তৎসঙ্গে রত্নপেটিকায় একটি

পত্র দিলেন। পত্রে লেখা ছিল মঘরাজ সন্ধির প্রার্থনায় এই পত্র পাঠাইতেছেন, তিনি যে ত্রিপুরেশ্বরের আনুগত্য স্বীকার করিতেছেন তাহার প্রমাণ স্বরূপ নিজ মাথার মুকুট খুলিয়া আরাকান বিজয়ী কুমারের মাথায় ইহা পরাইয়া দিতেছেন।[১]

 আরাকানপতির গুপ্ত উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইল, দূত হস্ত হইতে পত্র লইয়া যখন রাজধর ইহা পাঠ করিলেন তখন অমর দুর্লভ ও যুঝা সিংহ নিকটে থাকিয়া

বিজয়ী রাজপুত্র বলিয়া সকলেই রাজমুকুট পরিতে চাহিলেন।

  1. এই ঘটনা অবলম্বনে শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর “মুকুট” নামে নাটিকা রচনা করেন।