পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 


উদয়পুর অধিকার ও
অমরমাণিক্যের মৃত্যু

(১২)

উদয়পুর অধিকার ও অমরমাণিক্যের মৃত্যু

 বিজয়ী হইয়া মুকুট পরিবেন এই দুরন্ত আশা লইয়া রণনায়করূপে যুঝা মঘ সৈন্যের সম্মুখীন হইতে লাগিলেন। যুঝার বয়স তখন ২৫, যুদ্ধ বিদ্যায় অনভিজ্ঞ অথচ দুর্জ্জয় আত্মাভিমান। রাজধর প্রমাদ গণিলেন, তিনি যুদ্ধ চালনার সুযোগ না পাইয়া শিবিরের সম্মুখ রক্ষা করিতে লাগিলেন। এদিকে যুঝা পর্ব্বত আক্রমণ করিয়া মঘসৈন্য হঠাইতে হঠাইতে অপর প্রান্তে মাঠে আসিয়া পড়িলেন,—তখন দূরে মঘ দুর্গ দেখা গেল। যুঝার সঙ্কল্প হইল দুর্গ জয় করিবেন। মঘেরা তখন ত্রিশ হাজার বন্দুক হইতে অনবরত অনল বর্ষণ করিতে লাগিল।

 দুর্গজয় করিবার অভিলাষে যুঝা রাজধরের জয়মঙ্গল হস্তী আরোহণে যাইতেছিলেন কাযেই বিপক্ষের গোলা লাগিবার সুবিধা হইয়াছিল। যখন হস্তীর উপর উঠিতেছিলেন তখন বিপক্ষের গোলা লাগিয়া হস্তী নড়িয়া উঠিল এবং যুঝা হাওদা হইতে নীচে পড়িয়া গেলেন—দৈবচক্রে হাতীর পায়ের আঘাতে যুঝা প্রাণত্যাগ করেন। এইরূপে নিজ হঠকারিতায় যুঝা প্রাণ হারাইলেন। অমর দুর্লভ ও রাজধর উভয়ই পশ্চাদ্‌ভাগে ছিলেন। যুঝার মৃত্যুতে যখন চারিদিকে দারুণ বিশৃঙ্খলা হইয়া পড়িল তখন বর্শা আসিয়া রাজধরের অঙ্গে বিদ্ধ