পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

৸৶৹

সার সঙ্কলিত হইয়া তদীয় মন্তব্যসহ সোসাইটি পত্রিকায় মুদ্রিত হয়। তদীয় মন্তব্যে রাজমালাই ত্রিপুরা ইতিহাসের মূল ভিত্তিরূপে স্বীকৃত হইয়াছে।

 রাজমালার সংশ্লিষ্ট উপকরণ মধ্যে হস্ত লিখিত নিম্নোক্ত পুঁথিগুলি বিশেষ উল্লেখ যোগ্য:—

১। চম্পক বিজয়
২। কৃষ্ণ মালা
৩। গাজিনামা (সমসের গাজি)

 এই পুঁথিগুলি রাজমালা আফিসে অন্যান্য প্রাচীন উপাদান মধ্যে সুরক্ষিত হইয়া আসিতেছে। বিদ্যাবিনোদ সম্পাদিত রাজমালার অধুনা লুপ্তপ্রায় শেষ খণ্ডটির সহিত এইগুলি ব্যবহার করিবার জন্য রাজমালা আফিসের ভারপ্রাপ্ত কার্য্যকারক সুহৃদ্বর শ্রীযুত সত্যরঞ্জন বসু বি. এ. মহাশয় ও তদীয় সহকারী স্নেহভাজন শ্রীমান্ মহেন্দ্রনাথ দাসের বিশেষ সহায়তা লাভ করায় আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি।

 পরিশেষে বক্তব্য এই, ত্রিপুরার প্রাচীন কীর্ত্তি বাঙ্গলা দেশের এবং বাঙ্গালী জাতির যে এক অভিনব গর্ব্বের বিষয় তাহা রাজমালা প্রচারের স্বল্পতা হেতু অতি ক্ষুদ্র গণ্ডীতে আজিও নিবদ্ধ রহিয়া গিয়াছে। বাঙ্গালী যদি নিজ অতীত ইতিহাসের প্রতি সময়ে শ্রদ্ধাবান্ হইয়া উঠে তবে যে রাজমালা আজ ত্রিপুরার তাহা কালক্রমে সমগ্র বাঙ্গালার হইতে বাধা দেখা যায় না।

শ্রীকৃষ্ণার্পণমস্তু