পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/১৯৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৬৮
রাজর্ষির পরলোকগমন

হইয়া অন্য ধর্ম্মের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, এ গৌরব যেমন ইহার সহিত একদিকে জড়িত রহিয়াছে ইহার অপর দিকে রহিয়াছে সর্ব্বস্বান্ত জনের স্মৃতিরক্ষা এবং তাহাও আবার বিপুল বিক্রম আওরঙ্গজেবের ভ্রূকুটি উপেক্ষা করিয়া। মসজিদের প্রাত্যহিক নমাজ দ্বারা নিরুদ্দিষ্ট সুজার ইহলোকে বা পরলোকে শান্তি সুখ হওয়ার বিষয় ইতিহাসের আলোচ্য না হইলেও ধর্ম্মবিশ্বাসের প্রতি চক্ষু রাখিয়া একথা অবশ্যই বলিতে হয় গোবিন্দমাণিক্য সুজার একজন অকৃত্রিম বন্ধুর কার্য্যই করিয়া ছিলেন।

(৯)

রাজর্ষির পরলোকগমন

 গোবিন্দমাণিক্যকে কবিগুরু ররীন্দ্রনাথ রাজর্ষি আখ্যায় ভূষিত করিয়াছেন। তিনি যথার্থই রাজর্ষি ছিলেন। চট্টলে চন্দ্রশেখর ভারত প্রসিদ্ধ অতি মনোরম তীর্থ, জটাকলাপে বিভূষিত হইয়া মহাদেব যেন সেই গগনস্পর্শী শৈলশিখরে বিরাজমান ত্রিশিখরে মহাদেব ত্রিমূর্ত্তিতে বিরাজিত, প্রথমে স্বয়ম্ভূনাথ, তৎপরে বিরূপাক্ষ, সর্ব্বোচ্চ শিখরে চন্দ্রশেখর। গোবিন্দমাণিক্য চন্দ্রশেখরের মন্দির নির্ম্মাণ করিয়া অতুল কীর্ত্তিলাভ করেন। চন্দ্রনাথ তীর্থে ত্রিপুররাজের তীর্থপুরোহিত স্বর্গীয় হর কিশোর অধিকারী স্বীয় সুরম্য ‘চিত্রে চন্দ্রনাথ’ গ্রন্থে লিখিয়াছেন,