পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৭২
দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য

করিল, তারপর নবাবের গোচর করিল। নবাব যখন দ্বারকার চক্রান্ত বুঝিলেন তখন চক্রান্তকারীরা সরিয়া পড়িল।

 স্বীয় নামে রামমাণিক্য রামসাগর খনন করেন। ১৬৮১ খৃষ্টাব্দে মহারাজ কালপ্রাপ্ত হইলেন।[১]

(১১)

দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য

 পিতার মৃত্যুর পর ১৬৮২ খৃষ্টাব্দে দ্বিতীয় রত্নমাণিক্য পিতৃসিংহাসন আরোহণ করেন। তখন রত্নের বয়স অল্প। রত্নের মাতুল বলিভীমনারায়ণ রত্নের নামে রাজক্ষমতা পরিচালন করিতে লাগিলেন এবং নিজকে যুবরাজরূপে প্রচার করিলেন। রামমাণিক্যের অষ্টাদশ পুত্র ছিল, বলিভীম ইহাদিগের মধ্যে বয়ঃপ্রাপ্ত কুমারগণকে ক্রমে ক্রমে সরাইয়া ফেলিলেন। বলিভীমের দৌরাত্ম্য এতই বাড়িয়া উঠিল যে এ সংবাদ ঢাকার নবাব শায়েস্তা খাঁর কানে উঠিল। তখন শায়েস্তা খাঁ ঢাকার শাসন কর্ত্তা, তিনি বলিভীমনারায়ণকে ধরিবার জন্য বহু সৈন্যসহ

  1. উদয়পুরে গোপীনাথের মন্দিরের পশ্চিমভাগে একটি মন্দির আছে উহার অস্পষ্ট শিলালিপি পাঠে প্রতীত হয় তিনি ১৫৯৫ শকাব্দে বিষ্ণুর উদ্দেশে ঐ মন্দির নির্ম্মাণ করেন। গোমতী নদীর উত্তর পারে ভগ্নপ্রায় রাজপ্রাসাদের সংলগ্ন মন্দির গাত্রে শিলালিপি পাঠে জানা যায় রামমাণিক্য ১৫৯৯ শকাব্দে তাঁহার পিতার স্বৰ্গলাভ কামনায় বিষ্ণুর উদ্দেশে ঐ মন্দির দান করেন।