পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৭৮
দ্বিতীয় ধর্ম্মমাণিক্য

কালের কুটিল প্রবাহে সেই মন্দির বিগ্রহহীন হইয়া পড়ে। কৃষ্ণমাণিক্যের সময় উদয়পুর হইতে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামের বিগ্রহ কুমিল্লায় আনা হয়, কি জন্য আনা হইয়াছিল রাজমালায় তাহার উল্লেখ নাই। স্থানীয় জগন্নাথ বাড়ীর অন্যতম পাণ্ডা শ্রীযুক্ত মুরলীধর ত্রিপাঠীর মুখে শুনিয়াছি, সতর রতন নির্ম্মাণ অবসানে উদয়পুর হইতে জগন্নাথ সুভদ্রা বলরামের বিগ্রহ নৌকাযোগে আনা হয়। যে ঘাটে নৌক। লাগে তাহা জগন্নাথ ঘাট এবং তন্নিকটস্থ গ্রাম জগন্নাথপুর নামে অদ্যাপি পরিচিত। কিন্তু সতর রতন মন্দিরে জগন্নাথ বাস করিতে অসম্মত হন, স্বপ্নযোগে জানান হয়, মন্দির শ্মশানের উপর নির্ম্মিত তাই উহা বাসের অযোগ্য। তৎপর ঐ সতর রতনের সংলগ্ন ভূমিতে নূতন আবাস রচিত হয় সেইখানেই জগন্নাথ আজ পর্য্যন্ত বর্ত্তমান আছেন। উড়িষ্যার এই পবিত্র ব্রাহ্মণ পরিবারের উপর কৃষ্ণমাণিক্যের রাজত্বে বিগ্রহ স্থাপন অবধি জগন্নাথের পূজার ভার অর্পিত হইয়াছে। এখন ইঁহারা বহু পরিবারে বিভক্ত, তাই পালাক্রমে ভগবানের সেবার ভার পাইয়া থাকেন।

(১৩)

দ্বিতীয় ধর্ম্মমাণিক্য

 ১৭১৬ খৃষ্টাব্দে মহেন্দ্রমাণিক্য সিংহাসন অধিকার করেন। তাঁহার রাজত্বকাল দুই বৎসরেরও কম। ভ্রাতাকে বধ