পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২০৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৮১
দ্বিতীয় ধর্ম্মমাণিক্য

নবাব সুজাউদ্দিন ত্রিপুরার সমতলক্ষেত্রকে ‘চাকলে রোশনাবাদ’ আখ্যা প্রদান পূর্ব্বক বার্ষিক ৯২,৯৯৩ টাকা কর ধার্য্য পূর্ব্বক জগৎমাণিক্যকে জমিদারী স্বরূপ ইহা প্রদান করিয়াছিলেন। কিন্তু উক্ত রাজস্ব মধ্যে পরগণে নূরনগরের বার্ষিক রাজস্ব ২৫,০০০ টাকা, দিল্লীর সম্রাটের পূর্ব্ব আদেশ মত সামরিক জায়গীর এবং হস্তী ধৃত করিবার খরচ বাবত ২০,০০০; মোট ৪৫,০০০ টাকা বাদে ৪৭,৯৯৩ টাকা আদায়ী রাজস্ব নির্ণীত হয়। রাজা জগৎমাণিক্যকে রক্ষা করিবার জন্য কুমিল্লা নগরে একদল মোগল সৈন্য স্থাপিত হইয়াছিল। আকাসাদেক তৎকালে ত্রিপুরার ‘ফৌজদার’ পদে নিযুক্ত হন।”

 ধর্ম্মমাণিক্য যখন বনান্তরালে গা ঢাকা দেন তখন তাঁহার সঙ্গে চল্লিশ হাজার টাকা ছিল। এ অবস্থায় আর কতদিন অবস্থান করিবেন? পরামর্শ ক্রমে মুর্শিদাবাদের নবাব সুজাউদ্দিনের সহিত সাক্ষাৎ করাই স্থির হইল। মহারাজ মুর্শিদাবাদে চলিয়া আসিলেন। নবাবের দরবারে খ্যাতিমান পুরুষ জগৎশেঠের সহিত আলাপক্রমে নবাবের নিকট মহারাজের বক্তব্য জানান হইল। নবাব মহারাজকে যাচাই করিবার জন্য এক অদ্ভুত উপায় অবলম্বন করিলেন। জগৎশেঠকে বলিলেন—“ত্রিপুরার মহারাজের রাজোচিত চক্ষু কিরূপ আছে আমি দেখিতে চাই। ভাল তলোয়ার মন্দ খাপে আর মন্দ তলোয়ার ভাল খাপে রাখ, বহুমূল্য রত্নাঙ্গুরীয়ে মন্দ রঙ্ দিয়া মলিন করিয়া দাও, আর অল্প মূল্যের রত্নাঙ্গুরীয়ে