মুকুন্দমাণিক্য ও
ইন্দ্রমাণিক্য
মহারাজ ইহাতে কোনমতেই সম্মত হইলেন না। বিশেষতঃ পাঁচকড়ি মুর্শিদাবাদে রহিয়াছেন।
কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের কথা ফৌজদার মহস্তন জানিতে পারিয়া ঝটিতি মুকুন্দমাণিক্য ও রাজপুত্র কৃষ্ণমণি প্রভৃতিকে বন্দী করিয়া ফেলিলেন। ত্রিপুর সৈন্য ক্ষেপিয়া গিয়া মোগল সৈন্যের সহিত সংগ্রাম বাঁধাইয়া দিল। মহারাজ মুকুন্দমাণিক্য এই দুঃসহ অপমানে বিষপানে প্রাণত্যাগ করেন। রাণী প্রভাবতী স্থানান্তরে ছিলেন, তাঁহার আসিতে সাত দিন বিলম্ব হইল, এই সময় রাজদেহ তৈলে ডুবাইয়া রাখা হইল। রাণী আসিতেই রুদ্রমণিসুবাকে রাজাসনে বসিবার আদেশ প্রার্থনা করা হইলে রাণী নিতান্ত অসার বলিয়া এ সকল উড়াইয়া দিয়া সহমরণ গমন করিলেন। কিন্তু রাজ্যলোভ বড় লোভ— রুদ্রমণিসুবা “জয়মাণিক্য” নাম গ্রহণপূর্ব্বক সিংহাসনে বসিলেন।
মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্ত্তন-অভিলাষী হইয়া পাঁচকড়ি নবাবের অনুমতিগ্রহণক্রমে সে সময় দেশে ফিরিতেছিলেন, পদ্মা তীর অবধি পৌঁছিয়া অনুজ কৃষ্ণমণি ঠাকুরের পত্রে পিতার মৃত্যু ও রুদ্রমণিসুবার সিংহাসন অধিকার বৃত্তান্ত শুনিয়া পুনরায় মুর্শিদাবাদ ফিরিয়া গেলেন। নবাবের নিকট স্বীয় দুর্দ্দশার কাহিনী বর্ণনা করিলে নবাব পাঁচকড়িকে সৈন্য সাহায্য দিতে সম্মত হইলেন। পাঁচকড়ি সামরিক সাহায্যের বিনিময়ে নবাব হইতে সনন্দ গ্রহণ করিলেন, এই সনন্দ গ্রহণ দ্বারা ত্রিপুরার