পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২১৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৮৯
সমসের গাজি

সিংহাসন লাভ করেন, এখন হোসেন হইতে হাতীর জন্য ক্রমাগত তাগিদ আসিতে লাগিল, বিজয়মাণিক্য দশদিক অন্ধকার দেখিলেন।

 এই সময়ে ত্রিপুরার ইতিহাসে এক ধূমকেতুর আবির্ভাব ঘটে। ত্রিপুরার বাহুবল শক্তিহীন হইয়া পড়ায়, চতুর্দ্দিকে বিশৃঙ্খলা প্রবল হইয়া পড়িল, ক্ষমতার লোভে সাধারণ ব্যক্তিও মাথা তুলিতে লাগিল এবং দিগন্তব্যাপী অসন্তোষ দেখা দিল। সুযোগ পাইয়া দক্ষিণ শিক নিবাসী এক মুসলমান প্রজা ক্রমেই দুর্দ্ধর্ষ হইয়া উঠিতেছিল, ইহার নাম সমসের গাজি। সমসের গাজির অভ্যুদয় উপন্যাসের ন্যায় চমকপ্রদ।

 জগৎমাণিক্য যখন মীর হবিবের সাহায্যে চাকলে রোশনাবাদের অধিপতি হন, তখন দক্ষিণ শিক নিবাসী এক দরিদ্র মুসলমান চাষ করিবার সময় বহুমূল্য বস্তু প্রাপ্ত হয় এবং রাজা জগৎমাণিক্যকে উহা অর্পণ করায় তিনি ঐ প্রজাকে দক্ষিণ শিকের জমিদারী স্বত্ব প্রদান করেন। ঐ প্রজার নাম সদা গাজি। সদাগাজির ভাগ্য পরিবর্ত্তন হইল, তিনি জমিদার হইয়া গেলেন। সদাগাজির পুত্র নাছির মহম্মদ ষখন পিতার মৃত্যুর পর দক্ষিণ শিকের জমিদার তখন তাঁহার শিশুপুত্রদের পাঠাভ্যাসকালে এক দরিদ্র মুসলমান বালক সেখানে পড়াশুনা করিবার অনুমতি প্রাপ্ত হয়। ইঁহার নাম সমসের গাজি। এক সামান্যা রমণীর গর্ভে ও জনৈক ফকিরের ঔরসে তাঁহার জন্ম হয়, তাঁহার জীবনী লেখক তাঁহাকে “পীরের নন্দন” বলিয়া