পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২২১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৯৩
সমসের গাজি

 সমসের গাজির দক্ষিণশিক অধিকার করার কথা ত্রিপুরার মহারাজের কানে উঠিতেই তিনি বুঝিলেন ব্যাপার ভাল নয়, সত্বর ইহার দমন আবশ্যক। সমসেরকে ধরিবার জন্য লুচির্দপনারায়ণের অধীনে ত্রিপুরার ফৌজ ছুটিল, নিরুপায় দেখিয়া সমসের মহারাজকে কয়েক সহস্র মুদ্রা নজর স্বরূপ পাঠাইলেন। প্রীত হইয়া মহারাজ তাঁহাকে সনন্দ প্রদান করিলেন। এইভাবে সমসের প্রথম চোট সামলাইয়া লইলেন এবং অদূর ভবিষ্যতে শক্তি পরীক্ষার জন্য বিশেষ তোড়জোড় করিতে লাগিলেন। এই ঘটনার তিন বৎসর পর সমসের মেহেরকুল পরগণা ইজারা লইয়াছিলেন।

 পূর্ব্বে বলা হইয়াছে হোসেন কুলিখাঁ হইতে বিজয়মাণিক্যের নিকট ক্রমাগত হাতীর জন্য তাগিদ আসিতেছিল এবং মহারাজ হাতী ধরিতে না পারিয়া বড়ই ফাঁপরে পড়িয়াছিলেন। সুযোগ বুঝিয়া সমসের এক্ষণে মহারাজের সহিত গোপনে প্রতিযোগিতা আরম্ভ করিলেন। তিনি হোসেন কুলিখাঁর নিকট জানাইলেন বাঙ্গালার নবাবকে হাতী ধরিয়া দিতে তিনি সম্মত আছেন এজন্য বাঙ্গালা সরকার বিজয়মাণিক্যকে যে বৎসরে ১২ হাজার মাসহারা দিয়া থাকেন তাহা তিনি চাহেন না তবে ঐ কার্য্যের বিনিময়ে তিনি চাকলে রোশনাবাদের জমিদারী পাইতে চাহেন। হোসেন কুলিখাঁ দেখিলেন প্রস্তাব মন্দ নয়, বিজয়মাণিক্যের সহিত আলাপক্রমে ইহার পাকাপাকি ব্যবস্থা করিবার জন্য মহারাজকে ঢাকা