পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২২৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৯৬
সমসের গাজি

বিস্তার করিলেন। কিন্তু সমসেরের অর্থস্পৃহা দিন দিন বাড়িয়া চলিল; রাজকোষের মালিক হইয়াও সমসেরের অর্থশোষ মিটিল না। তাই অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দস্যুবেশে ত্রিপুরা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের জমিদারদিগের গৃহে গভীর রাত্রিতে হানা দিতেন। সমসের গাজির প্রিয়ভক্ত তদীয় জীবন চরিত লেখক সেখ মনোহরও এ বিষয়ে নীরব থাকিতে পারেন নাই। “সেখ মনোহর বলেন যে সমসের একজন কৃপণ জমিদারের গৃহ হইতে একলক্ষ টাকা ডাকাতি করিয়া আনিয়াছিলেন।” যখন এই ব্যাপার প্রকাশ হইয়া পড়িল তখন সমসেরের নামে চারিদিকে আতঙ্ক ও ভীতির সঞ্চার হইল। ইহা দ্বারা সমসেরের যেরূপ অপযশ হইয়াছিল তেমনি সর্ব্বহারা হইবার কারণেরও সূত্রপাত ঘটিল। আজ পর্য্যন্ত সমসেরের দস্যুবৃত্তির নানা কাহিনী এ অঞ্চলে কথিত হইয়া থাকে।

 কিছুকাল পূর্ব্বে সীতাকুণ্ড সন্নিহিত বাড়বকুণ্ড দর্শনান্তে জ্বালামুখী কালীবাড়ীতে বিশ্রাম করিবার কালে পুরোহিতের মুখে এসম্বন্ধে এক গল্প শুনিতে পাই। কালীবাড়ীর সিন্দুকে টাকা ভরিয়া উঠায় সেখানকার সেই সময়ের প্রধান পুরোহিত টাকাগুলি বাহিরে আনিয়া গণিয়াছিলেন। সুতরাং ইহা লোক মুখে কথায় কথায় অনেক দূর চলিয়া আসে। পুরোহিতকে কেহ কেহ সমসের গাজির নামে ভয় দেখাইলে তিনি নাকি নির্ভয়ে বলিয়াছিলেন—“প্রহরীর দরকার নাই, মার অর্থ কেহ