পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২২৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
১৯৮
সমসের গাজি

ভয়ে আড়ষ্ট হইয়া ব্যাপার দেখিতে লাগিল। কিন্তু কি আশ্চর্য্য! সমসের যখনই নিজ সঙ্গীদের নিয়া কাছে ভিড়িতেছেন আর অমনি কাতারে কাতারে সিপাহী বাহির হইয়া মার মন্দির পরিক্রমণ করিতে লাগিল। সমসের ত অবাক, দেবালয়ে এত সিপাহী! তাই অপ্রস্তুত হইয়া দূরে সরিয়া গেলেন। সেই রাত্রিতে তিনি বারবার মন্দিরে আসিবার প্রয়াস পাইয়াছিলেন কিন্তু বার বার সঙ্গীনধারী সৈন্য টহল ফিরিতেছে দেখিতে পাইলেন, এই ভাবে রাত্রি প্রভাত হইয়া গেল, নিরাশ হইয়া সমসের ফিরিয়া গেলেন!

 এইভাবে দস্যুপণায় সমসেরের দুর্নাম রটিয়া গেল। রাজা হইয়া যদি প্রজার অর্থ হরণে মতি হয় তবে প্রজার রাজভক্তি কোথা হইতে আসিবে? রাজ্যশুদ্ধ প্রজা অতিষ্ঠ হইয়া উঠিল। ইহাতে সমসেরের প্রতিপক্ষ যুবরাজ কৃষ্ণমণির বিশেষ সুবিধা ঘটিল। সমসেরের হস্ত হইতে ত্রাণ পাইবার জন্য তাঁহাকে অনেকেই মনে মনে বরণ করিতে লাগিলেন। সমসেরের হস্তে পরাজিত হইয়া কৃষ্ণমণি উদয়পুর ত্যাগ করিয়া পুরাতন আগরতলা স্থাপন পূর্ব্বক সেইখানে বাস করিতে আরম্ভ করেন। ধীরে ধীরে অনেকেই তাঁহার দলভুক্ত হইতে লাগিলেন। সমসেরের সহিত শক্তি পরীক্ষার জন্য কৃষ্ণমণি হেড়ম্ব ও মণিপুর রাজ্যে সৈন্য সংগ্রহের প্রয়াস পাইয়াছিলেন। কিন্তু বাহুবলে সমসেরকে পরাভূত করা সম্ভবপর হইল না।

 সমসের বাহুবলে অজেয় থাকিলেও প্রজার চিত্ত হইতে