পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২০২
কৃষ্ণমাণিক্য

চেষ্টা কাহার নিকট? সময়ের পরিবর্ত্তনে ভারতের ভাগ্যবিপর্য্যয় ঘটিয়াছিল। পলাশীর পর হইতে নবোদিত সূর্য্যের ন্যায় ইংরেজ শক্তি ভারতের ভাগ্যাকাশে উদিত হইতে হইতে ক্রমে আসমুদ্র হিমাচল আয়ত্ত করিয়া ফেলিল। সেই বিপুল প্রতাপ ইংরেজের বল সে সময়ে সকলের চক্ষে হয়ত স্পষ্ট হইয়া ঠেকে নাই কারণ ইংরেজ, ক্লাইবের দ্বৈত শাসন মূলে আড়ালে রহিয়াছিলেন।

 সিংহাসনে বসিবার অল্পকাল মধ্যেই মহারাজ কৃষ্ণমাণিক্যের সহিত চাকলে রোশনাবাদের রাজস্ব লইয়া ফৌজদারের বিরোধ উপস্থিত হয়। ফৌজদার মুর্শিদাবাদে নবাবের নিকট এবিষয় জানাইয়া মহারাজকে শিক্ষা দিবার জন্য সৈন্য প্রার্থনা করেন। ইংরেজের হস্তে নবাব তখন ক্রীড়নক মাত্র, কাযেই এ বিষয় ইংরেজ গভর্ণর ভান্সিটার্টের নিকট প্রেরিত হয়। ভান্সিটার্ট (Vansittart) বিষয়টিকে পরম উৎসাহে গ্রহণ করিলেন। ত্রিপুরা জয়ের উত্তম সুযোগ মনে করিয়া চট্টগ্রামের শাসন কর্ত্তাকে কাল বিলম্ব না করিয়া মহারাজের সহিত সংগ্রামে লিপ্ত হইতে লিখিয়া দিলেন। চট্টগ্রামে তৎকালে মোগল শক্তি বিধ্বস্ত করিয়া ইংরেজ শাসনের বনিয়াদ রচনা হইয়াছিল, হারিভার লেষ্ট চিফ্ অফিসার পদে নিযুক্ত হন এবং Thomas Rambold, Randolph Marriot ও Walter Wilkins-কে লইয়া মন্ত্রণা সভা গঠিত হয়।

 চট্টগ্রামের শাসনকর্ত্তা ১৭৬১ খৃষ্টাব্দে লেফটেনেণ্ট মথি