পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৩২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২০৪
কৃষ্ণমাণিক্য

হইলেন। এ জন্য মহারাজকে কলিকাতা ইংরেজ কর্ত্তৃপক্ষের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতে হইয়াছিল। সেইখানে কালিঘাটে মার অর্চ্চনা করিয়া মহারাজ হারিভার লিষ্টের সহিত সাক্ষাৎ করেন, হারিভার সদাশয় লোক ছিলেন। তখনও প্রকাশ্যে নবাব শাসন চলিতেছিল তাই চাকলে রোশনাবাদের ভার মহারাজকে পুনঃ অৰ্পণ করিতে ইচ্ছুক হইয়া প্রথমতঃ মহারাজকে মুর্শিদাবাদ প্রেরণ পরে নিজেও তথায় গমন করেন। সাহেবের সাহায্যে মহারাজ সফলকাম হইলেন। ইহার কিছুকাল মধ্যেই ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানী দেশের সর্ব্বময় কর্ত্তৃত্ব লাভ করেন এবং লিক সাহেব (Mr. Ralph Leeke) ত্রিপুরার রেসিডেণ্ট পদে স্থায়ী হন। লিক সাহেব চাকলে রোশনাবাদ শাসন উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ শাসনতন্ত্রের প্রবর্ত্তন করেন। পার্ব্বত্য ত্রিপুরার শাসন মহারাজের হস্তে পূর্ব্ববৎ রহিয়া গেল, এই ভাবে সেই সময় হইতে স্বাধীন ত্রিপুরা ও জমিদারী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শাসিত হইতে লাগিল। মোগল শাসনের পরিবর্ত্তে ব্রিটিশ শাসন প্রবর্ত্তিত হইয়া গেল।

 কৃষ্ণমাণিক্যের যৌবরাজ্য কালে তিনি আগরতলায় (পুরাতন আগরতলা) বসতি নির্ম্মাণ করেন এ কথা পূর্ব্বে উল্লেখ করা হইয়াছে। শৈলমালার বেষ্টনে স্থানটি অপেক্ষাকৃত নিরাপদ বলিয়া প্রতিভাত হওয়ায় তিনি সেখানে নদীর ধারে বসতি নির্ম্মাণ করিয়া সমসের গাজি হইতে আত্মরক্ষা করেন। ১১৭০ ত্রিপুরাব্দে রাজপদে অধিষ্ঠিত হইয়া তিনি পুরাতন আগরতলার