দুর্গামাণিক্য হয়ত মৃত্যুর পূর্ব্বাভাষ পাইয়াছিলেন তাই জীবন সম্বন্ধে এরূপ নিরাশবাণী কহিলেন। তারপর রামগঙ্গামাণিক্যকে এইভাবে সম্বোধন করিলেন—
রাজ ধর্ম্মমতে প্রজা করিবে পালন
স্বধর্ম্মে থাকিয়া রাজ্য করিবে রক্ষণ।
ভবিতব্য থাকে যদি পুনঃ আসিবার
তোমা সঙ্গে আর দেখা হইবে পুনর্ব্বার।
এই কথা বলিতে বলিতে দুর্গামাণিক্য বিষণ্ণ হইলেন—
এ সব কহিয়া রাজা থাকে বিমর্ষিয়া
রামগঙ্গামাণিক্য কহে নৃপ আশ্বাসিয়া॥
শরীর হইয়াছে জীর্ণ বলিতে সংশয়
পিতৃকার্য্যে চলিয়াছেন নিষেধ না হয়॥
মহারাজ দুর্গামাণিক্য, রামগঙ্গামাণিক্য ও কাশীচন্দ্র একসঙ্গে সে সময় বসিয়াছিলেনঃ—
এই মতে আলাপ করিছে তিন ভাই
পরস্পর রোদনের কিছু ক্ষেমা নাই॥
এইরূপে নৌকাযোগে মহারাজ, রাণী ও পরিজনসহ তীর্থ দর্শনে বাহির হইয়া গেলেন। সর্ব্বপ্রথমে কাশী আসিলেন তথা হইতে মাঘ মাসে প্রয়াগ গমন করেন, সেখান হইতে পুনরায় কাশী প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া শিবমন্দির স্থাপন করেন। বিশ্বেশ্বর অন্নপূর্ণা দর্শনে চিত্তের শান্তি হয়। ষোড়শোপচারে দানাদি কার্য্য সম্পন্ন করিয়া গয়া