পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৪৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২১৮
রামগঙ্গামাণিক্য

 উদয়পুরে সৈন্য সজ্জা হইতে লাগিল। মহারাজ আগরতলা ছিলেন বলিয়া শম্ভুচন্দ্র হালাম সৈন্য দিয়া রাজধানী অবরোধ করিতে প্রয়াস পাইলেন কিন্তু মহারাজের চতুর ব্যবস্থায় শম্ভুচন্দ্রের হার হইল। শম্ভুচন্দ্র চট্টগ্রাম যাইয়া আশ্রয় লইলেন এবং মোকদ্দমার তদ্বির করিতে লাগিলেন।

 এই সময়ে মহারাজ রামগঙ্গামাণিক্য মোগড়া গ্রামের সান্নিধ্যে এক বিপুল আকারের দীঘি খনন কার্য্য আরম্ভ করেন, উহাতে সহস্র মাটিয়াল নিযুক্ত হয় এবং ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে উক্ত দীঘি খনন কার্য্য সমাধা হয়। ট্রেনে যাইতে ইহা সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ইহার নাম গঙ্গাসাগর। বর্ত্তমানে এ দীঘির পারে তহসিল আফিস রহিয়াছে। বাস করিবার অভিপ্রায়ে সেখানে মহারাজ এক সুরম্য ভবন প্রস্তুত আরম্ভ করেন এবং তদুদ্দেশ্যে বাস্তু পূজার অনুষ্ঠান করা হয়।

 ১২৩১ সনে মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হয়। তাহাতে শম্ভুচন্দ্র প্রভৃতির দাবী সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করা হয়। তখন রাজধানীতে অভিষেকের জন্য বিপুল আয়োজন চলিতে থাকে। বেদবিধি অনুসারে মহারাজ শুভদিনে অভিষিক্ত হইলেন। রামগঙ্গামাণিক্যের পুনরভিষেক কার্য্য গোবিন্দমাণিক্যের পুনরভিষেক কথা স্বতঃই স্মরণ করাইয়া দেয়। কামান গর্জ্জনে অভিষেক সমাপ্তি দিকে দিকে ঘোষিত হইল। অভিষেক ক্রিয়ান্তে অনুজ কাশীচন্দ্রকে যৌবরাজ্য ও স্বীয় তনয় কৃষ্ণকিশোরকে বড়ঠাকুর