পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৪৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২১৯
রামগঙ্গামাণিক্য

পদ দেওয়া হয়। ব্রিটিশ প্রতিনিধি সাক্ষাতে অভিষেক সম্পন্ন হইলে তিনি তিন দিন আগরতলা থাকিয়া বিদায় লইলেন। নৃত্যগীতে রাজ্য মুখরিত হইয়াছিল ইহা বলাই বাহুল্য।

 রামগঙ্গামাণিক্যের রাজত্বকালে প্রসিদ্ধ ব্রহ্মযুদ্ধ ঘটে এবং তাহাতে তিনি ব্রিটিশ গভর্ণমেণ্টের পক্ষে থাকিয়া সৈন্য সাহায্য করিয়াছিলেন। মণিপুররাজ জয়সিংহের কন্যা চন্দ্ররেখার সহিত রাজধরমাণিক্যের বিবাহ সম্বন্ধ দ্বারা উভয় রাজত্ব মধ্যে কুটুম্বিতা বন্ধন সুদৃঢ় হয়। কিন্তু জয়সিংহের মৃত্যুর পর মণিপুর সিংহাসনের উপর নানা বিপর্য্যয়ের স্রোত বহিয়া যাইতে লাগিল। জয়সিংহ-তনয় লাবণ্যচন্দ্র সিংহাসন আরোহণ করার পরই ষড়যন্ত্রের ফলে নিহত হন। তখন মধুচন্দ্র রাজা হন, তিনি শীঘ্রই চৌরজিৎ হস্তে প্রাণ হারান। চৌরজিতের অভিলাষ পূর্ণ হইল না, তাঁহার ভ্রাতা মারজিৎ তাঁহাকে দূর করিয়া দিয়া সিংহাসন দখল করেন। বিতাড়িত চৌরজিৎ নিরুপায় দেখিয়া আগরতলা আসিয়া উপস্থিত হন। মহারাজ তাঁহাকে নিঃস্ব দেখিয়া কিছু অর্থ প্রদান করেন। অতঃপর চৌরজিৎ হেড়ম্বরাজের অনুগ্রহ ভাজন হইয়া সেখানে বাস করিতে থাকেন। মারজিৎও অতি সত্বর গম্ভীরসিংহ কর্ত্তৃক রাজ্য হইতে বিতাড়িত হন। যখন গম্ভীরসিংহ সিংহাসনে সমাসীন তখন ব্রহ্মসৈন্য আসিয়া মণিপুরে হানা দিল। উপায়ান্তর না দেখিয়া গম্ভীরসিংহও হেড়ম্ব রাজ্যে যাইয়া আশ্রয় খুঁজিলেন। অদৃষ্টের তাড়নায়