পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৬৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৩৪
রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

করুক।’ লেফটেনেণ্ট গভর্ণর উক্ত মন্তব্য অনুমোদন পূর্ব্বক বীরচন্দ্রকে defacto রাজা রূপে স্বীকার করেন এবং অন্য দাবিদারগণকে বিচারালয়ে নিজ নিজ পথ খুঁজিয়া লইতে পরামর্শ দেন।

 এই ব্যবস্থা অনুযায়ী রাজকার্য্য অবাধে চলিতে লাগিল। প্রভু বিপিনবিহারীর শাসন ক্ষমতা তখনও অব্যাহত ছিল, তাঁহার কঠোর শাসনে রাজার আশ্রিত ব্যক্তিরাও রেহাই পাইত না। তাই তৎপ্রতি রুষ্ট হইলেও মুখ ফুটিয়া কেহই কিছু বলিতে পারিত না। ঈশানচন্দ্রের অন্তৰ্দ্ধানে তাহারা মাথা তুলিতে লাগিল। তীক্ষ্ণদৃষ্টি বীরচন্দ্র এইসব লক্ষ্য করিতে লাগিলেন। কিয়ৎকাল পূর্ব্বে গুরুর কড়া শাসনে ঠাকুর লোকগণের বৃত্তি হ্রাস ও ভূসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হইয়াছিল। বিচার সম্পর্কে সাক্ষী শ্রেণীভুক্ত হওয়ায় তাঁহারা বুঝিতে পারিলেন এইবার সুযোগ মিলিয়াছে। তখন কৌশলে বীরচন্দ্রকে তাঁহারা বুঝাইয়া দিলেন “হয় আমাদিগকে বিদায় দিন, নচেৎ গুরুকে অবসর করুন।”

 বীরচন্দ্র বাক্যের তাৎপর্য্য বুঝিলেন। তাঁহার ভয় হইল, ইঁহাদের বিরক্তিতে শত্রু-পক্ষের শক্তি-বৃদ্ধি হইবে। যদি ইহাদিগকে খুসী করিবার জন্য প্রভুকে কর্ম্মচ্যুত করেন তবে প্রভু চক্রধ্বজ ও নীলকৃষ্ণের সহিত মিলিত হইতে পারেন। এইভাবে বীরচন্দ্র দেখিলেন প্রভুকে অবরুদ্ধ করা ছাড়া আর উপায় নাই। অদৃষ্টের চক্র পরিবর্ত্তনে কাহার কোন্ অবস্থা হয় কিছুই বলা যায় না। যে বিপিনবিহারীর প্রতাপে সকলে কাঁপিত আজ