পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৬৫

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৩৫
রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

তিনি সকল দৃষ্টির অগোচরে অবরুদ্ধ। ভাগ্যবিপর্য্যয়ের দিক দিয়া প্রভু বিপিনবিহারীর সহিত Cardinal Wolsey-র অনেকটা ঐক্য দৃষ্ট হয়। অবরুদ্ধ অবস্থায়ই প্রভুর মৃত্যু ঘটে।

 প্রভু বিপিনবিহারীর হস্তে ন্যস্ত ক্ষমতা পুনরায় ব্রজমোহন ঠাকুরের স্বন্ধে অর্পিত হইল। ইহাতে ঠাকুরগণ অত্যন্ত প্রীত হইলেন এবং অল্পকাল মধ্যেই পূর্ব্ববৎ স্ব-স্ব প্রাধান্য খ্যাপনে তৎপর হইলেন। বীরচন্দ্র এই পরিবর্ত্তন বিশেষ ভাবেই লক্ষ্য করিলেন কিন্তু বিচারালয়ের আইনের যুদ্ধে, তখন ঘন ঘটা হইয়াছিল তাই চুপ করিয়া সহিয়া গেলেন। ঠাকুরগণের স্ব-স্ব প্রধানভাব কুমিল্লা ম্যাজিষ্ট্রেটেরও চক্ষু এড়ায় নাই, তাই তিনি চট্টগ্রামের কমিশনারের নিকট এক মন্তব্য প্রেরণ করেন, তাহাতে উক্ত হইয়াছিল বীরচন্দ্র, ঠাকুরগণের প্রাধান্যে কিছুমাত্র হস্তক্ষেপ করিতে পারেন না, গুরু বিপিনবিহারীর শাসনে রাজ্যে টুঁ শব্দ ছিল না। ইহাতে বিপিনবিহারীর কার্য্যদক্ষতার প্রশংসাই পাওয়া যাইতেছে।

 কুমিল্লার আদালতে বীরচন্দ্রের পক্ষে প্রায় অধিকাংশ ঠাকুর রোবকারী সমর্থন করিয়া সাক্ষ্য দেন। ঈশানচন্দ্রের রাণী মহোদয়ারা ঐ রোবকারী সমর্থন করিয়া কোর্টে বীরচন্দ্রের অনুকূলে আবেদন করেন। কতিপয় ঠাকুর, নীলকৃষ্ণ ও চক্রধ্বজের পক্ষে উহা অসত্য এই মর্ম্মে সাক্ষ্য দেন। কিন্তু স্থানীয় বিচারে বীরচন্দ্রের হার হইল। তখন তিনি হাইকোর্টে আপীল