পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৬৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৩৮
রাজ্যশাসনে বীরচন্দ্র

 নীলমণি দাসের কার্য্যকালের পর খ্যাতনামা শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায় সহকারী মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। তখন দীনবন্ধু ঠাকুর মন্ত্রী ছিলেন। তৎকালে প্রসিদ্ধ বৈষ্ণব তত্ত্বজ্ঞ রাধারমণ ঘোষ কুমারগণের শিক্ষকরূপে কার্য্যে প্রবেশ করেন, পরে অসামান্য প্রতিভা বলে মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারী পদে উন্নীত হন। এই সময়ে মহারাজ, সমরেন্দ্রচন্দ্রকে বড়ঠাকুর পদ প্রদান করেন। ১৮৯০ খৃষ্টাব্দে রায় উমাকান্ত দাস বাহাদুর মন্ত্রী নিযুক্ত হন, তৎপূর্ব্বে ধনঞ্জয় ঠাকুর ও রায় মোহিনীমোহন বর্দ্ধন বাহাদুর মন্ত্রী পদে নিযুক্ত ছিলেন। ইহারা প্রত্যেকেই স্বনামধন্য পুরুষ এবং স্ব স্ব শক্তি অনুসারে ত্রিপুরা রাজ্যের কল্যাণ করিয়া গিয়াছেন। মহারাজ বীরচন্দ্রের রাজত্বকালে উমাকান্ত বাবুর উদ্যোগে ও যুবরাজ বাহাদুরের উৎসাহে স্থানীয় ইংরেজী বঙ্গ বিদ্যালয় হাইস্কুলে পরিণত হয়। রাধাকিশোরমাণিক্যের শাসনকালে উত্তম সৌধ নির্ম্মাণ করিয়া ঐ বিদ্যালয়টিকে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং উমাকান্ত বাবুর নামে ইহার ‘উমাকান্ত একাডেমী’ নামকরণ হয়। এই সৌধ সহরের সৌন্দর্য্যস্থল হইয়া মন্ত্রীবরের বিদ্যোৎসাহিতার ও মহারাজের ঔদার্য্যের কীর্ত্তি যুগপৎ ঘোষণা করিতেছে।