পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৭৭

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৪৫
রাজর্ষি রাধাকিশোর

ত্রিপুরার শৈলমালার বেষ্টনে আবদ্ধ থাকিতে পারিত এবং বহির্জগৎ তাঁহাকে জানিতে পারিত না কিন্তু স্বীয় অসামান্য প্রতিভাবলে স্বদেশের কল্যাণ চিন্তার সঙ্গে সমগ্র বঙ্গের কল্যাণ চিন্তাও একসূত্রে গাঁথিতে পারিয়াছিলেন দেখিয়া চমৎকৃত না হইয়া থাকা যায় না!

 তাঁহার দরবারে একটি উজ্জ্বল রত্ন ছিলেন কর্ণেল মহিমচন্দ্র ঠাকুর। তদীয় ‘দেশীয় রাজ্য’ পুস্তকে রাধাকিশোরমাণিক্য সম্বন্ধে তিনি যে বিবরণ প্রদান করিয়াছেন তাহা নিম্নে অংশতঃ উদ্ধৃত করা যাইতেছে।

 বীরচন্দ্রের মৃত্যুর পর রাধাকিশোরমাণিক্য ত্রিপুরার সিংহাসন লাভ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আমারও জীবনের পার্শ্ব পরিবর্ত্তন হইল। বৃদ্ধ মহারাজের বাৎসল্য রসের চালে ৩০ বৎসর পর্য্যন্ত অতিবাহিত হইয়াছিল। হঠাৎ আমাকে শুয়া পোকা হইতে পূর্ণ প্রজাপতির রূপ ধারণ করিতে হইল। নূতন নূতন জটিল সমস্যা ও কার্য্যভার আমার স্কন্ধদেশে চাপিয়া বসিল!

 রবিবাবুর সঙ্গে রাধাকিশোরমাণিক্যের যুবরাজ-জীবনে কলিকাতায় পিতার দরবারে একবার মাত্র ক্ষণকালের জন্য দেখা হইয়াছিল। বিশিষ্ট ইংরেজ কর্ম্মচারীর হঠাৎ আবির্ভাবে আলাপ বেশীদূর অগ্রসর হইতে পারে নাই। সেই মুহূর্ত্তকাল দর্শনেই একে অন্যের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া পড়েন। চুম্বক যেমন লোহাকে টানে, গুণীব্যক্তি গুণীকে আকর্ষণ করে।

 “রাধাকিশোর যখন ত্রিপুরার ‘মাণিক’ হইলেন, তখন বহু