“সে সময়ে কলিকাতা সঙ্গীত সমাজে মহারাজের অভ্যর্থনার যে আয়োজন হইয়াছিল, তাহা বর্ণনা করা অসাধ্য। তাঁহাকে দেখাইবার নিমিত্ত স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ তাঁহারই রচিত “বিসর্জ্জন” নাটকে “রঘুপতির” ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন। আর নাটোরের মহারাজ, রবীন্দ্রনাথ-রচিত গীত
‘রাজ অধিরাজ তব ভালে জয় মালা
ত্রিপুর-পূরলক্ষ্মী বহে তব বরণ ডালা।
ক্ষীণ-জন-ভয়-তারণ অভয় তব বাণী
দীনজন দুঃখহরণ নিপুণ তব পাণি।
অরুণ তব মুখচন্দ্র করুণ রস ঢালা।
গুণী রসিক সেবিত উদার তব দ্বারে
মঙ্গল বিরাজিত বিচিত্র উপচারে
গুণ-অরুণ-কিরণে তব সব ভুবন আলা৷’
গাহিয়া মাল্য-চন্দনে মহারাজ রাধাকিশোরের সম্বর্দ্ধনা করিয়াছিলেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের রাজর্ষি এবং বিসর্জ্জনে ত্রিপুরার নাম অমর এবং জগদ্বিখ্যাত হইল, একি ত্রিপুরার কম গৌরবের কথা!
“ত্রৈপুরী ১৩১৫ সালে ১৭ই আষাঢ় আগরতলার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয়ের প্রশস্ত গৃহে সাহিত্য-সভা স্থাপনোপলক্ষে রবীন্দ্রনাথকে অভিনন্দিত করিতে এক সভার অনুষ্ঠান হয়। সে বিরাট সভার মঞ্চোপরি একটি আসন মহারাজ রাধাকিশোরের