পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৮৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৫৪
বীরেন্দ্রকিশোর

পারিয়াছেন। রাজসভা নবরত্নে ভূষিত হইলেই বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন কাহিনীর পুনরাবৃত্তি হয় কিন্তু নবরত্ন না মিলিলেও রাজসন্নিধিতে এরূপ একটি রত্নের অস্তিত্ব থাকিলেও পরবর্ত্তী যুগের ঐতিহাসিকের রচনাকার্য্য অপূর্ব্ব সাফল্য লাভ করে।

 ১৯০৯ সালে পুণ্যস্থান সারনাথ যাত্রাকালে মোটর দুর্ঘটনায় তাঁহার প্রাণ বিয়োগ হয়।

(১০)

বীরেন্দ্রকিশোর

 ১৯০৯ খৃষ্টাব্দে যুবরাজ বীরেন্দ্রকিশোর সিংহাসন আরোহণ করেন। পিতার ন্যায় তিনিও নানা সদ্‌গুণে ভূষিত ছিলেন। পিতার অনারব্ধ কার্য্য সমাপ্তির জন্য তাঁহার বিশেষ উৎসাহ ছিল। তিনি ছিলেন একজন অতি উচ্চশ্রেণীর চিত্রকর, তাঁহার চিত্রপ্রতিভা যে কেবল রং তুলিতেই নিবদ্ধ ছিল এমন নহে পরন্তু উহা ইট পাথরেও শিল্পনৈপুণ্য ফুটাইয়াছিল। তাঁহার পরিকল্পনা অনুযায়ী যে সকল ইমারৎ গড়া হইয়াছিল সেগুলির প্রত্যেকটি আপন আপন বৈশিষ্ট্যে উজ্জ্বল হইয়া আছে। দুর্গামন্দির ও লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, প্রশস্ত সরোবরের গায়ে দুইটি শ্বেত পদ্মের আকারে ফুটিয়া রহিয়াছে। রাজপ্রাসাদের সংলগ্ন ‘লালমহল’ আর একটি স্থপতি বিদ্যার উত্তম নিদর্শন।