পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৯৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৬২
বীরবিক্রমকিশোর

যুবকদের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করিতে পারে না, সেই চক্ষুদান মহারাজ য়ুনিভার্সিটির প্রাচীরের বাহিরে থাকিয়া কেমন করিয়া স্বচ্ছন্দে লাভ করিলেন? ইহার উত্তর সহজভাবে মিলান অসম্ভব। গীতার ‘শুচীনাং শ্রীমতাং গেহে যোগভ্রষ্টোঽভিজায়তে’ এই উক্তির মধ্যেই যথার্থ উত্তর নিহিত রহিয়াছে। মহারাজের বয়সের সহিত তাঁহার অমিল কার্য্যকলাপ লক্ষ্য করিলে অবাক হইয়া কেবলি পূর্ব্বজন্মের কথা ভাবিতে হয়।

 মহারাজ স্বরাষ্ট্রে ক্ষত্রিয়মণ্ডলী গঠন দ্বারা জাতীয় সংগঠনের বনিয়াদ তৈরী করিয়াছেন, বিবিধ শাসন সংস্কার দ্বারা রাষ্ট্রের শক্তি উপচিত হইয়াছে। তাঁহার কর্ম্মপ্রচেষ্টা ভারতব্যাপী, তিনি স্বীয় ক্ষমতায় Chamber of Princes-এর মেম্বর এবং উক্ত চেম্বারের Standing Committee-র মেম্বর। কলিকাতার সুপ্রসিদ্ধ বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের ভিত্তিস্থাপন তাঁহার হাতে হয় এবং ঐ বিশাল সৌধের দ্বারোদ্ঘাটন কার্য্যও তিনি সম্পন্ন করেন। ১৯৩৯ খৃষ্টাব্দে কুমিল্লায় বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মিলনের উদ্বোধন কার্য্য তৎকর্ত্তৃক অনুষ্ঠিত হয়। তিনি Eastern States Agency-র Council of Rulers-এর সর্ব্ববাদী সম্মত নির্ব্বাচিত প্রেসিডেণ্ট। কলিকাতা ত্রিপুরাহিতসাধিনী সভা ভবনের ভিত্তি স্থাপন মহারাজের হস্তে সম্পন্ন হয়।

 মহারাজের সবেমাত্র এই জীবনপ্রভাত, ইহারই মধ্যে পৃথিবী ভ্রমণ দ্বারা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা তাঁহার অন্তরের একান্ত কাম্য হইয়া পড়িয়াছে। কয়েক বৎসর পূর্ব্বে তিনি য়ুরোপ ভ্রমণ