পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/২৯৯

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৬৩
বীরবিক্রমকিশোর

দ্বারা সে জ্ঞান পিপাসা মিটাইয়াছেন। সাধারণ ভ্রমণকারীর ন্যায় তিনি যে সকল দর্শনীয় স্থান ও আশচর্য্যজনক বস্তু নিজে দেখিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছেন এমন নহে পরন্তু যাঁহাদের অঙ্গুলি সঙ্কেতে পটপরিবর্ত্তনের ন্যায় য়ুরোপের এই রূপান্তর ঘটিতেছে তাঁহাদের সহিত সাক্ষাৎ আলাপে মূলের সহিত পরিচিত হইয়া তবে ফিরিয়াছেন।

 দুর্দ্ধৰ্ষ মুসোলিনীর সহিত আবিসিনীয় সমরের অনেক পূর্ব্বে ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে মহারাজের সাক্ষাৎ হয়। মুসোলিনী তাঁহার সহিত ইংরাজিতে আলাপ করেন। ইতালীয় বিমান সম্ভার যাহাতে মহারাজের দেখিবার সুযোগ ঘটে তজ্জন্য মুসোলিনী তদীয় জেনারেল বেল্‌বোকে (Balbo) বিমান ক্রীড়া প্রদর্শনের ব্যবস্থা করিতে আদেশ দেন। ইহাতে মহারাজের পরিদর্শনের বিশেষ সুবিধা হইয়াছিল। এতদুদ্দেশ্যে মুসোলিনী তাঁহার স্বীয় বিমান মহারাজের ব্যবহারের জন্য রাখিয়া দিয়াছিলেন। রোমের শিক্ষাকেন্দ্র প্রদর্শনের ব্যবস্থাও তিনি করিয়াছিলেন। মহারাজ যখন রোম দর্শনান্তে মিলান সহরে ভ্রমণরত তখন মুসোলিনীর ভ্রাতা অল্ডার মুসোলিনী (Popolo de Italia কাগজের সম্পাদক) মহারাজের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া ফ্যাসিষ্ট নেতার আবক্ষ মর্ম্মর মূর্ত্তি মহারাজকে উপহার প্রদান করেন। ইহাতে মহারাজের কথা যেমন দৈনিক কাগজে বাহির হইতে লাগিল, ফোটো প্রার্থী দলও তেমনি বাড়িয়া গেল। সেই সময়ই মহারাজ ফন হিণ্ডেনবার্গের সহিত পরিচিত