পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩১০

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৭৪
বীরবিক্রমকিশোর

বাঁশ, বেত ইত্যাদি বনজবস্তু প্রচুর পরিমাণে রাজ্য হইতে ভারত গভর্ণমেণ্টকে সরবরাহ করা হইয়াছিল।

 আভ্যন্তরিক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষণকল্পে একদিকে যেমন নানা বিধিনিষেধ জারী করা হইয়াছিল, অপরদিকে “ত্রিপুর রাজ্য-রক্ষী বাহিনী” গঠন করিয়া সীমান্তবর্ত্তী ঘাঁটীগুলি রক্ষাকল্পে বিশেষ তৎপরতার সহিত ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়াছিলেন।

 “১ম ত্রিপুরা বীরবিক্রম রাইফল্‌স্”, “ত্রিপুরা মহাবীর লিজিয়ন্” প্রভৃতি ত্রিপুর সৈন্যবাহিনী—ভারতীয় সেনাবাহিনীর সহিত নানা যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুবিতাড়নে নিযুক্ত হইয়াছিল। আরাকান যুদ্ধক্ষেত্রে ত্রিপুর বাহিনীর শৌর্য্য ও দক্ষতা ভারতীয় ও বৃটিশ সেনানায়কগণের অজস্র প্রশংসা অর্জ্জন করিয়াছিল। রাজপরিবারস্থ বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ যুদ্ধক্ষেত্রে ত্রিপুরবাহিনী পরিচালনা করিয়া বহু সামরিক সম্মানে ভূষিত হইয়াছিলেন। ইহা সমস্তই মহারাজ বীরবিক্রমের ব্যক্তিগত প্রেরণার ফল। মহারাজ মধ্যে মধ্যে যুদ্ধরত সেনানী পরিদর্শন করিয়া তাহাদের স্বদেশরক্ষার গৌরব বৃদ্ধি করিতেন।

 এই সময়ে সারা ভারতময় যুদ্ধোপকরণ ও সমরসম্ভার সরবরাহে যে মুদ্রাস্ফীতি ঘটিয়া দেশের অর্থনৈতিক বিপর্য্যয় আনয়ন করিতেছিল তাহা ত্রিপুরা রাজ্যকেও আঘাত করিয়াছিল। সৈনিক বিভাগের কাজকর্ম্ম করিয়া রাজ্যের কতিপয় লোক অর্থ সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন।