পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩১১

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৭৫
বীরবিক্রমকিশোর

অতিরিক্ত মজুরী লাভে দিন মজুরেরাও বহুগুণ বেশী উপার্জ্জন করিতেছিল। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত বস্তু ও ও আহার্য্যের দর ক্রমশঃ বাড়িয়া চলিয়াছিল। ইহাতে বিশেষ করিয়া নির্দ্দিষ্ট আয়ের মধ্যে থাকিয়া দেশের মধ্যবিত্ত পরিবারবর্গ দিন দিন ভাঙ্গিয়া পড়িতেছিল। এই অবস্থার মধ্যে বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষে লক্ষ লক্ষ নরনারী মৃত্যুমুখে পতিত হইতেছিল। ত্রিপুরারাজ্যের পার্শ্ববর্ত্তী স্থানে চাউলের মূল্য প্রতি মণ যখন ৫০৲ হিসাবে বিক্রয় হইতেছিল তখন রাজ্যমধ্যে বহিরাগত বুভুক্ষু নরনারীর সমাবেশ দেখা দিল। মহারাজের বিশেষ আদেশে ধান-চাউল রপ্তানী নিয়ন্ত্রিত হইল। যাহাতে সকলে নির্দ্ধারিত মূল্যে ধান-চাউল বরাদ্দ অনুযায়ী পাইতে পারে—তজ্জন্য রাজ্যমধ্যে সরকারী তত্ত্বাবধানে বিতরণ কেন্দ্র খোলা হইল। যদিও দুর্ভিক্ষের করাল ছায়া রাজ্যমধ্যেও পড়িয়াছিল, কিন্তু সুখের বিষয় রাজ্যবাসী প্রজাদের কাহারও প্রাণহানি হয় নাই। ধান-চাউল স্বল্পমূল্যে বিতরণ কার্য্যে সরকার বাহাদুরকে কয়েক লক্ষ টাকার উপর ঘাট্‌তি বহন করিতে হইয়াছিল। সহরে যে সমস্ত বুভুক্ষু নরনারী ও শিশু বাহির হইতে আসিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল তাহাদের জন্যও মহারাজের ব্যক্তিগত সাহায্যে এবং জনসাধারণের চেষ্টায় একটি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হইয়াছিল। দুঃস্থ আশ্রিতদের সেবা ও রোগে ঔষধ পথ্যাদি দেওয়ার ব্যবস্থাও সরকার হইতে করা হইয়াছিল। বীর বিক্রমকিশোরের করুণ