পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩১২

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৭৬
বীরবিক্রমকিশোর

হৃদয়ে দুঃখীর বেদনা যেভাবে আঘাত করিত—উপরোক্ত ব্যবস্থা হইতেই ইহা অনুভূত হয়।

 অপরদিকে ভারতে বৃটিশ শাসকবর্গের কূট আলাপ-আলোচনা দিন দিন ভারতীয় রাজনৈতিক গগনে ক্রমশঃ বিপর্য্যয় ঘনাইয়া আসিতেছিল। দেখিতে দেখিতে সর্ব্বত্র সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ এমনভাবে ছড়াইয়া পড়িল যে হিন্দু মুসলমানদের প্রীতির বন্ধন অবিশ্বাসের মূলসূত্রে পরিণত হইল। ইহারই ফলে কলিকাতার দাঙ্গা—নোয়াখালীতে সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ, স্থানীয় অধিবাসীদের আতঙ্কগ্রস্ত করিয়া, পিতৃ পিতামহের বাস্তুভিটা ত্যাগ করিয়া অনির্দ্দিষ্টের যাত্রায় অনেকে বাহির হইয়া পড়িল। সুখের ও গৌরবের বিষয় ত্রিপুরারাজ্যে এই সময় হইতে বর্ত্তমান সময় পর্য্যন্ত কোনও প্রকার সাম্প্রদায়িক বিষ সংক্রামিত হয় নাই। ইহার জন্য একদিকে বীরবিক্রমকিশোরের দৃঢ়তা ও অপরদিকে সর্ব্ব সম্প্রদায়ের প্রতি সমদৃষ্টি ঘোষণা, সকলের মনেই জাগরূক থাকিবে। বিশেষতঃ ত্রিপুরা রাজ্যে নোয়াখালী ও অপরাপর জিলা হইতে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের ব্যবস্থা ইত্যাদি ভারতীয় চিন্তানায়কগণের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়াছিল।

 ইতিমধ্যে ভারতীয় গণপরিষদ ভারতের শাসনতন্ত্র প্রণয়ণকল্পে আহূত হইল। দেশীয় রাজ্য এবং রাজন্যবর্গের প্রতিও ইহাতে যোগদানের আহ্বান আসিল। মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর প্রজাসাধারণের প্রতিনিধিত্বের সহযোগিতায়