পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৩১৩

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
২৭৭
বীরবিক্রমকিশোর

ত্রিপুরারাজ্যের পক্ষে তৎকালীন রাজস্ব-সচিবকে গণ-পরিষদে যোগদান করিবার নিমিত্ত প্রেরণ করেন। অতঃপর ভারতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি নানা কুয়াশাজালে জড়িত হইয়া শেষ পর্য্যন্ত ভাবতীয় ও পাকিস্থান রাষ্ট্রে ভারত বিভাগ হইল। প্রথম হইতেই ত্রিপুরারাজ্য ভারতীয় রাষ্ট্রে যোগদান করিয়াছিল। রাজ্যের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া মহারাজ বীরবিক্রমের ত্রিপুরারাজ্যকে ভারতীয় রাষ্ট্রে যোগদানের নির্দ্দেশ কতদূর সুদূর প্রসারী হইয়াছিল, তাহা তাঁহার তিরোধানের অনতিকাল মধ্যেই বিশেষভাবে অনুভূত হইয়াছিল।

 কিছুকাল যাবত মহারাজের স্বাস্থ্য ভাল চলিতেছিল না। ইহা সত্ত্বেও সামরিক ও রাজনৈতিক নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সর্ব্বদা জড়িত থাকিতে মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর কোনও প্রকার শৈথিলা বোধ করেন নাই। মহারাজের সহিত আলোচনান্তে কোনও বিশিষ্ট রাজনৈতিক মন্তব্য করিয়াছিলেন যে আলোচিত বিষয়ে তিনি এক নূতন ধারা পাইলেন, যাহা পূর্ব্বে কখনও তাঁহার সম্মুখে কেহ উত্থাপন করেন নাই।

 মাত্র দশদিন যাবৎ জ্বর ও নিমোনিয়ায় ভুগিয়া ৩৯ বৎসর বয়সে মহারাজ বীরবিক্রমকিশোর মাণিক্য বাহাদুর ১৩৫৭ ত্রিপুরাব্দের ২রা জ্যৈষ্ঠ তারিখে রাত্রি পৌনে নয়টায় রাজধানী আগরতলায় নশ্বর দেহ ত্যাগ করেন।

 বয়ঃকনিষ্ঠ হইলেও তাঁহার অপরিসীম জ্ঞানবত্তা সম্বন্ধে