আকার পরিবর্ত্তিত হয় এই ভারতবর্ষেরও তেমনি আকারের অনেক পরিবর্ত্তন ঘটিয়াছে, কাজেই পূর্ব্বের পুস্তকে যেরূপ বর্ণনা আছে তদনুরূপ দেশ খুঁজিয়া বাহির করা সব সময় চলে না। এক্ষেত্রেও সেইরূপ। সেই অতি প্রাচীন কালের ত্রিবেগ বর্ত্তমানে কি নাম ও রূপ ধরিয়াছে তাহা লইয়। ঐতিহাসিকের মধ্যে অনেক মতভেদ উপস্থিত হইয়াছে। ‘ঢাকার ইতিহাসে’ এ সম্বন্ধে এইরূপ লেখা আছে:–“ব্রহ্মপুত্র ধলেশ্বরী ও লাক্ষ্যা এই নদ ও নদীত্রয়ের সঙ্গম স্থান ত্রিবেণী বলিয়া পরিচিত। এইস্থান নারায়ণগঞ্জের বিপরীত কূলে সোণারগাঁও পরগণায় অবস্থিত।
“কথিত আছে, যযাতির পুত্রচতুষ্টয়ের মধ্যে মহাবল পরাক্রান্ত তৃতীয় পুত্র দ্রুহ্যু কিরাতভূপতিকে রণে পরামুখ করিয়া কোপল (ব্রহ্মপুত্র) নদের তীরে ত্রিবেগ বা ত্রিবেণী নগর সংস্থাপন পূর্ব্বক তথায় স্বীয় রাজধানী প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন।”
ত্রিবেগ, সুবর্ণগ্রাম পরগণার অন্তর্গত। এই স্থানেই প্রথম রাজপাট স্থাপিত হয়। কোপল নাম ‘কপিলে’রই অপভ্রংশ। সুবর্ণগ্রাম সম্বন্ধে ঢাকার ইতিহাসে এইরূপ লেখা আছেঃ—
“জনশ্রুতি যে মহারাজ দ্রুহ্যুর অনন্তরবংশীয় মহারাজ জয়ধ্বজের সময়ে এই বিস্তীর্ণ ভূভাগের উপর সুবর্ণ বর্ষিত