ত্রিপুরা নামের হেতু ও
ত্রিপুর রাজচিহ্ন
৭। হস্তচিহ্ন (পাঞ্জা)—এই চিহ্নটিও রৌপ্য নির্ম্মিত। ইহা সিংহাসনের বাম পার্শ্বে ধারণ করা হয়। জগন্মাতা আদ্যাশক্তির ‘অভয়মুদ্রা’ হইতে এই চিহ্ন গৃহীত হইয়াছে।
৮। রাজলাঞ্ছন (Coat of Arms)—এই চিহ্নের সর্ব্বোপরি ত্রিশূলধ্বজ, তন্নিম্নে চন্দ্রধ্বজ, তাহার দুই পার্শ্বে চারিটি পতাকা ও দুইটি সিংহ অঙ্কিত রহিয়াছে। মধ্যস্থলে একটি ঢাল। সিংহ ক্ষাত্রবীর্য্যের বা রাজশক্তির পরিচয় জ্ঞাপক; পতাকা চতুষ্টয় হস্তী, আরোহী, ঢালী, তীরন্দাজ এবং গোলন্দাজ—এই চতুরঙ্গ বাহিনীর নির্দ্দেশ স্বরূপ। মধ্যস্থলে অঙ্কিত ঢালকে চারিভাগে বিভক্ত করিয়া এক একভাগে নিম্নোক্ত এক একটি চিহ্ন অঙ্কন করা হইয়াছে যথাঃ
১। মীন মানব ২। তাম্বুল পত্র ৩। হস্তচিহ্ন (পাঞ্জা) ৪। পাঁচটি তারা, তারা পাঁচটি পঞ্চশ্রী সমন্বিত রাজশ্রীর পরিচায়ক, পাঁচ শ্রী ব্যবহারের অর্থও আছে যথাঃ
আদ্যা কীর্ত্তিদ্বিতীয়া প্রকৃতিষু করুণা দাম্ভতাসাং তৃতীয়া
তুর্য্যাস্যাৎ দানশৌণ্ড্যং নৃপকুলমহিতা পঞ্চমী রাজলক্ষ্মী
উক্তচিহ্নের নিম্নভাগে দেবনাগরী অক্ষরে একটি প্রবচন অঙ্কিত আছে। “কিল বিদুর্বীরতাং সারমেকম্”। ইহার তাৎপর্য্য—বীর্য্যই একমাত্র সার। এই সুদৃঢ় নীতি-বাকোর উপর ত্রিপুর রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত।
৯। সিংহাসন—ইহা ষোলটি সিংহধৃত অষ্টকোণ বিশিষ্ট