পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৫৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।



রাজমালা
২৮
ত্রিলোচনের দিগ্বিজয়

এই সকল রাজ্যজয় দ্বারা ত্রিলোচনের যশ চারিদিকে ছড়াইয়া পড়ে। ঠিক সেই সময় যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞ হইতেছিল। তাহাতে যে কত রাজার নিমন্ত্রণ হইয়াছিল তাহার সঠিক নির্ণয় নাই। পূর্ব্বে সহদেবের দিগ্বিজয়ের কথা বলা হইয়াছে। সহদেব ত্রৈপুর নরপতিকে বশে আনিয়াছিলেন এ কথা মহাভারতে আছে, এই ত্রৈপুর নৃপতিই ত্রিলোচন। পাণ্ডব বীর সহদেবের সৌজন্যে, ত্রিলোচন যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞে নিমন্ত্রিত হইয়া হস্তিনাপুর গমন করেন। ত্রিলোচন মহাসমারোহে সসৈন্যে ভারতের রাজধানীতে আসিয়া উপস্থিত হন। তাঁহার সঙ্গে মণিপুরের রাজাও আসেন। ইহা ত্রিপুরার ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব্ব ঘটনা। বিধির বিচিত্র বিধানে আজ পর্য্যন্ত ভারতের রাজধানী প্রায় সেইখানেই রহিয়া গিয়াছে।

 মহারাজ ত্রিলোচন হস্তিনাপুর পৌঁছিয়া দেখিলেন তাঁহার জন্য সুন্দর পর্ণাবাস রচিত হইয়াছে। বহু রাজার আবাসে সেস্থান শোভিত ছিল। পরম আদরে সেইখানে তিনি অভ্যর্থিত হইলেন। শুভদিনে রাজসূয় যজ্ঞ আরম্ভ হইল। যথা সময়ে

যুধিষ্ঠিরের রাজসূয় যজ্ঞ