পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৫৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
৩০
ত্রিলোচনের দিগ্বিজয়

উদ্দেশে শ্রাদ্ধাদি করিতেন, ব্রাহ্মণে অন্নদান ও দান তাঁহার নিরন্তর ছিল। এতদ্ব্যতীত নিত্য নৈমিত্তিক ক্রিয়ায় তিনি সদা তৎপর ছিলেন।

 ত্রিলোচনের শেষ বয়সে তাঁহার পর সিংহাসনে কে বসিবে ইহা লইয়া বিচার বিতর্ক হয়। ত্রিলোচনের জ্যেষ্ঠ পুত্র দৃক্‌পতি হেড়ম্বরাজ্যে বাস করিতেন ইহা পূর্ব্বেই বলা হইয়াছে। তিনি হেড়ম্বরাজের সিংহাসনে বসিবেন এরূপ কথা পূর্ব্বেই আলোচিত হইয়াছে। দৃক্‌পতি যে হেড়ম্বরাজ্যের ভাবী রাজা ইহা স্থির হইয়া গিয়াছিল। কিছুকাল পরে হেড়ম্বরাজের মৃত্যু হইলে দৃক্‌পতি মাতামহ-সিংহাসনে বসিয়া রাজদণ্ড ধারণ করিলেন। ইহাতে মহারাজ ত্রিলোচন তাঁহার দ্বিতীয় পুত্র দাক্ষিণকে যুবরাজ করিলেন। পিতার মৃত্যুতে দাক্ষিণই ত্রিপুরার সিংহাসন পাইবেন ইহা স্থির হইয়া রহিল। দুই ভাই দুই রাজ্যে রাজা হইবেন এ ব্যবস্থা উত্তম। কালপূর্ণ হইলে ত্রিলোচনের মৃত্যু হইল। মর্ত্ত্যলোক ত্যাগ করিয়া তিনি শিবলোকে গমন করিলেন।