পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৬৪

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
৩৬

বরবক্রে ত্রিপুর রাজধানী
স্থানান্তর

শিব ভক্ত ছিলেন। মনু নদীর তীরে শ্যাম্বল নগরে যাইয়া তিনি শিবলিঙ্গ দর্শন করেন। শিবারাধনায় তন্ময় হইয়া তিনি খলংমা নদীর তীর হইতে রাজধানী উঠাইয়া মনু নদীর তীরে শ্যাম্বল নগরে স্থাপন করেন। শ্যাম্বল হয়ত শিবের শম্ভু-নামেরই অপভ্রংশ! কুমারের পর তিন জন রাজার সময়ে ঘটনার উল্লেখ নাই বলিলেই হয়, চতুর্থ রাজা মৈছিলির সম্বন্ধে একটি শিব উপাখ্যান আছে। মৈছিলিরাজ বড়ই ক্রোধী ছিলেন। পুত্রলাভের জন্য তিনি মহাদেব ধ্যান করেন; চতুর্দ্দশ দেবতাগৃহে চন্তাই সহিত তিনি ছিলেন। ধ্যানে তুষ্ট হইয়া শিব দর্শন দিলেন কিন্তু রাজাকে কহিলেন—তোর পুত্র হইবে না, তুই অপুত্রক থাকিবি। রাজা এত ক্রোধী ছিলেন যে মহাদেবের এই বাকো তাঁহার রাগের সীমা রহিল না, তিনি মহাদেবকে ভয় করা দূরে থাকুক, আরাধ্য দেবতাকে বধ করিতেই উদ্যত হইলেন। দেবদেব মহাদেবকে লক্ষ্য করিয়া তীর ছুঁড়িলেন। তীর মহাদেবের পায়ে লাগিল। মহাদেব তাঁহাকে শাপ দিলেন—তুই অন্ধ হইয়া যা। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই মৈছিলিরাজ অন্ধ হইয়া গেলেন। হায়, হায়, একি হইল! রাজা করুণ স্বরে আর্ত্তনাদ করিতে লাগিলেন। চন্তাই শিবের নিকট ধন্না দিয়া পড়িলেন হে আশুতোষ, সন্তানের অপরাধ ক্ষমা কর। রাজার চক্ষু ভাল করিয়া দাও। শিবের আদেশ হইল, যদি নররক্ত দেওয়া যায় তবে ইহার চক্ষু ভাল হইবে এবং এসময় ব্যাপিয়া ব্রহ্মচর্য্যে বাস করিতে হইবে। এইরূপ