পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৬৮

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা
 
৪০
 

মহারাজ প্রতীত ও
হেড়ম্বরাজ

দুই রাজাতে এক সঙ্গে মিলিয়া আমাদের প্রতি দৃষ্টি দেয় তবে ত আমাদের সর্ব্বনাশ অনিবার্য্য। যতকাল ইহারা পরস্পর লড়িয়াছে ততকাল আমরা পরম সুখে কাল কাটাইয়াছি। আমাদের সে সুখের দিন বুঝি ফুরাইল। এখন আমাদের বাঁচিতে হইলে ইহাদের মধ্যে বিবাদ বাঁধাইতে হইবে। এইরূপ আলোচনাক্রমে সকলে স্থির করিল এক পরমা সুন্দরী রমণী পাঠাইয়া ইহার দ্বারা দুই রাজার মধ্যে বিবাদবাঁধানই উত্তম উপায়। কারণ নারীর প্রতি লোভ করিয়া সোণার লঙ্কা ছারখার হইয়াছে, রাবণ সবংশে ধ্বংস হইয়াছে।

 এই ষড়যন্ত্রের সংবাদ ত্রিপুর ও হেড়ম্বরাজ্যে পৌঁছে নাই। একদিন হেড়ম্বরাজ ও প্রতীত একত্র বসিয়াছেন এমন সময় এক পরমা সুন্দরী নারী উভয় রাজার দৃষ্টির সম্মুখে স্বর্ণমৃগের ন্যায় ক্ষণিক দাঁড়াইয়া সহসা অদৃশ্য হইল। বিজলী চমকের ন্যায় এই নারীর রূপ উভয়কে মুগ্ধ করিল। প্রতীত নীরবে রহিলেন, হেড়ম্বরাজের মহাকৌতূহল হইল—এ কে, কেনই বা এই নিভৃতস্থানে আসিয়াছে। রাজদূত পাঠাইয়া খবর লইলেন, দূত আসিয়া বলিল—এই নারী মহারাজের সাক্ষাৎ কামনা করিয়া আসিয়াছে। হেড়ম্বরাজ উঠিয়া গেলেন, একটু আড়ালে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—তুমি কে, এখানে কেনই বা আসিয়াছ? সুন্দরী হেড়ম্বরাজকে আড়চোখে চাহিয়া ঈষৎ ভ্রূকুঞ্চিত করিয়া বিরক্তির সঙ্গে বলিল—তুমি হেড়ম্বরাজ,