পাতা:রাজমালা - ভূপেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্ত্তী.pdf/৮৬

এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
রাজমালা

গৌড়েশ্বরের দরবারে
ত্রিপুরকুমার রত্ন

(৪)

গৌড়েশ্বরের দরবারে ত্রিপুরকুমার রত্ন

 মহারাজ ডাগরের সময় গৌড়ের নবাবের সহিত পুনরায় যোগাযোগ ঘটে।

 লক্ষ্মণ সেন যখন নবদ্বীপ ত্যাগ করিয়া বিক্রমপুরে চলিয়া আসেন তখন বিজয়ী বখ্‌তিয়ার গৌড়ে রাজধানী স্থাপন করেন। খ্রীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে গৌড়ের নবাবের সহিত মহারাজ ডাগরের প্রীতি প্রণয় ঘটে। সেই বন্ধুতাসূত্রে কনিষ্ঠ পুত্র রত্নকে গৌড়েশ্বরের দরবারে পাঠাইয়া দেন।

 ত্রিপুরেরশ্বরের হয়ত ইচ্ছা ছিল কুমার রত্ন যেরূপ চতুর, দেশ ভ্রমণে তাঁহার অভিজ্ঞতা আরও বাড়িবে। তাই রত্নের সঙ্গে ২৪০ জন সৈন্য ও আরও লোক জন দিলেন, কুমার দল বল লইয়া গৌড় উদ্দেশ্যে যাত্রা করিলেন। কিছুকাল মধ্যে নানা দেশ দেখিয়া কুমার গৌড়ে আসিয়া পৌঁছিলেন। গৌড়েশ্বর রত্নকে সমাদরে গ্রহণ করেন। নবাবের দরবারে কুমার যাইতে লাগিলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই নবাবের হৃদয় জয় করিয়া ফেলিলেন। তখন নবাব নিঃসঙ্কোচে কুমারের সহিত রঙ্গরহস্য করিতেন। একদিন নবাব রত্নকে রসিকতা করিয়া বলেন—“ওহে, ত্রিপুরকুমার! তোমার কুকি জাতীয় প্রজারা নাকি মাটির